মানুষ যেন আজ ক্ষুধার্ত পশুর বীভৎস রূপ।
চোখে তার শুধু লোভের তৃষ্ণা,
হাতে হিংসার নখর,
আর হৃদয়টা যেন পাথরের চেয়েও কঠিন।
ভালোবাসা, মমতা, সহমর্মিতা—
এসব শব্দ যেন আজ অর্থহীন।
সম্পর্কের শিকড়গুলো শুকিয়ে গেছে স্বার্থপরতার বিষে,
প্রতিটি বাঁধন আজ ছিন্নভিন্ন।
যেন সেই আদিম ক্রোধ আবার ফিরে এসেছে!
যেখানে সভ্যতার আলো নিভে গেছে।
বিবেকের কণ্ঠ রুদ্ধ, আর সত্য যেন আজ পরবাসী।
মানুষ যখন মানুষকে শিকারে পরিণত করে—
তখন বুঝি সভ্যতা কেবল এক প্রহসন,
আর মানবতার কঙ্কাল চাপা পড়ে থাকে তার অন্তহীন ক্ষুধার তলায়।
চোখে তার জ্বলে ওঠে লোভের লালসা,
মুখে এক নির্মম হাসি।
চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভয়াল ক্ষুধার প্রতিধ্বনি,
যা কেবল ভোগের বাসনা জানে,
সম্পর্কের মর্ম বোঝে না।
বন্ধন'গুলো আজ ছিন্ন ভিন্ন!
আত্মার গভীর টানগুলো ভেঙে যাচ্ছে হিংসা আর প্রতারণার চাপে।
ভালোবাসা আর মমতা যেন আজ শুধুই গল্প,
মানুষের হৃদয়ে তার আর ঠাঁই নেই।
সভ্যতার আলোকিত আড়ালে যে অন্ধকার লুকিয়ে ছিল, তা আজ স্পষ্ট।
মানুষ হয়ে মানুষকে শিকারে পরিণত করছে,
নিষ্ঠুর হাতে টেনে নিচ্ছে জীবনের মায়া।
বিবেক কোথাও নীরব,
সত্য তার ম্লান আলো নিয়ে হারিয়ে গেছে নিরুদ্দেশে।
এই তীব্র ক্ষুধা, এই ভয়াবহ পশুত্ব—
এটাই যেন মানুষের নতুন পরিচয়।
অন্তরে জমে থাকা মানবিকতা কোথাও বিলীন,
চোখে-মুখে কেবলই হিংসার ছায়া।
লোভের নেশায় দগ্ধ মানুষ সম্পর্কের মুল্য ভুলে গেছে;
প্রতিটি বাঁধনকে ছিঁড়ে ফেলে,
প্রতিটি বিশ্বাসকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে,
শুধুই ছুটছে নিজের স্বার্থের পেছনে।
মানুষের মাঝে আর মানুষকে খুঁজে পাওয়া দায়,
চারপাশে কেবল নির্দয়তার উন্মাদনা।
ভালোবাসা আজ অবহেলিত,
মায়া-মমতার কণ্ঠরুদ্ধ।
প্রতিটি সম্পর্ক ক্ষত-বিক্ষত;
বিবেকও আজ নিঃশব্দ!
আত্মার টানগুলো কেটে গেছে অহংকারের ছুরিতে।
ডুবে গেছে ঐ ক্ষুধার্ত পশুসম রূপের আড়ালে!
মানবজন্মে, মানুষ যেন আজ কেবলই অসীম শূন্যতা!
যা পূর্ণ করতে চায়, কিন্তু পরিপূর্ণ পূর্ণ হয় না।
=======