আমি হেঁটে যাই নিস্তব্ধ পথে,
যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই, নেই কোনো বাধা।
এ পথে ফুল ফোটে আপন মেজাজে,
তাদের কোনো সুতো বাঁধতে পারেনি।
তারা ঝরে পড়ে আপন খেয়ালে,
আর আমি সেসব ফুল কুড়িয়ে বাঁধি বিনা সুতার মালা।

এই মায়াবী মালা আমার স্বপ্নের মতো,
কোথাও কোনো বন্ধন নেই।
প্রত্যেকটি ফুলের গন্ধ আলাদা, রং আলাদা,
তবু একসাথে মিশে তারা গড়ে তোলে এক নতুন সুর। তাদের মুক্তির আনন্দে ঝঙ্কার ওঠে অন্তরে,
যেন এক অনাবিল সুর লহরী।

প্রতিটি পাপড়ির আড়ালে লুকিয়ে থাকে একেকটি গল্প। কেউ বলে প্রকৃতির রূপকথা,
কেউবা বলে মনের গভীরতম অনুভূতির কথা।
আমি সেই গল্প শুনি, আর হাঁটি ধীর লয়ে,
কানে বাজে, নিস্তব্ধতার মাঝেও যেন এক নীরব আওয়াজ।

বিনা সুতার মালা,
তবু এর প্রতিটি ফুল পরস্পরের সাথে অদৃশ্য বন্ধনে জড়িয়ে থাকে।
এ যেন এক মোহনীয় সৃষ্টি,
যেখানে কোনো নিয়ম নেই, নেই কোনো শৃঙ্খলা।
শুধু মিলেমিশে পাশে থাকা, কাছে থাকা।

জানি, এই মালা টিকবে না বেশিক্ষণ।
তবু এর ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্যে বুঁদ হয়ে যাই,
ভুলে যাই সময়ের প্রবাহ।
বিনা সুতার মালা, যেন এক অবিনাশী স্বপ্ন,
যা ছুঁতে পারে হৃদয়ের গভীরতম কোণ।

এ মালা একদিন হয়তো ঝরে যাবে,
কিন্তু, স্মৃতিতে রেখে যাবে তার স্পর্শ!
বাতাসে রেখে যাবে তার সুগন্ধ!
সেই স্মৃতিতে আবার বুনব এক বিনা সুতার মালা,
যেখানে থাকবে শুধু স্বাধীনতার সুবাস,
থাকবে মুক্তির আনন্দ।

=========