তুমি যেন হৃদয় মাঝে সেই নীলাকাশ,
যার নিচে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচি।
তুমি যেন এক অলিখিত, শাশ্বত কবিতার পাতা,
যার প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি ছন্দে—
মিশে আছে, তোমার কায়া, ছায়া, তোমার কথা!
যার প্রতিটি ছন্দে, খুঁজে পাই তোমার স্পর্শ।
তুমি আছো সর্বদা, তুমি আছো সর্বত্র।
তুমিই সেই ভালোলাগা, ভালোবাসার কবিতা!
তুমি অবুঝ মনের সুখ সঞ্চারি প্রিয়তা।

তুমি শ্বাসত অনাবিল শান্তির মতো,
তোমার স্পর্শে অনুভূত মুগ্ধতা শত।
পৃথিবীর সমস্ত কোলাহল, সমস্ত বিশৃঙ্খলা,
তোমার কাছেই থেমে পায় শৃঙ্খলা।
তোমার নীরব উপস্থিতিই যেন এক সুর,
যা ভিতরের সব উদ্বেগ মুছে করে দূর,
নিয়ে যায় শান্তির এক গভীর সাগরে।
নিয়ে যায় সেই সাগরে, যে সাগরে আছে—
শুধু তুমি আর তোমার অবর্ণনীয় প্রশান্তি।

তোমার মধ্যে খুঁজে পাই জীবনের আলো,
তুমি না থাকলে এই জীবন আধার কালো।
দিশাহীন পথিকের অন্ধকারে হারিয়ে যেত।
তোমার আলোয় জীবন প্রদীপ নতুন করে জ্বলে,
তুমি আছো তাই জীবন, নতুন আশা, স্বপ্নে চলে।
টেনে নিয়ে যায় নতুন সম্ভাবনার পথে।
তুমি সেই আলোকশিখা, যা কখনো নিভে না,
মহাপ্রলয়, ঝড়-ঝঞ্ঝার পরেও হারায় না।

তুমি হৃদয় প্রদীপ, তুমিই সকল সুখের দ্বীপ,
তোমার জন্য, দুঃখের ভেলা, ঝড় ঝামেলা—
ফেলে আসতে পারি সব।
তুমি সেই স্থির ভূমি, যেথা মনের শান্তি খুঁজে পাই,
যেথায় কোনো ঝড়ো হাওয়া, জোয়ারের ভয় নাই।
তুমি আছো বলেই হৃদয়ে শান্তির সুর বাজে,
সুখের আলো জ্বলে, জীবনের অর্থ খুঁজে পাই।

তুমি, মুগ্ধতায় ঘেরা কল্পলোকের ডানাকাটা পরী!
তুমি অস্তিত্বের গভীরতম অনুভূতির সেই মায়াজাল,
যেখানে আমি প্রতিদিন ফিরে ফিরে আসি,
ফিরে আসি, মায়ায় হাসি, আনন্দে ভাসি!
ফিরে আসি তোমার মাঝে, তোমার মায়ায়।
আর, ক্লান্তির শান্তি খুঁজি তোমার অন্তর দরজায়।

=========