ভালোবাসার যাঁতাকলে পিষে-মিশে ব্যথার নৈরাজ্যে ঘুরছে জীবন!
যতটা ভালোবাসার ঠিক ততটাই কষ্ট লুকানোর দুঃসাহস আমার সব সময়ই ছিলো।
আমি খুব সহজেই সয়ে রয়ে থেকে যেতে জানি!
খুব সহজেই নিজের কস্টগুলোকে রঙ্গিন কাপড়ে জড়াতে পারি।
বাঁচার নেশায় নীরবে পান করতে জানি বেদনার হেমলক!

তবুও মাঝে মাঝে ব্যাকুল দুপুরে একলা থাকার ক্ষণগুলোতে,
কেমন যেন অস্থির, উদাস লাগে!
ছেঁড়া ছেঁড়া স্মৃতিরা বেদনা রূপে জেঁকে বসে!
মনের চারিধারে হাহাকারে বিভীষিকাময় ডামাডোল বাজে!
হঠাৎ কখনো কখনো ভেতরের কষ্টটা সইতে না পেরে,
ধৈর্যের বাধ ভেঙে ছটফট করে!
দু'ঠোঁটের ফাঁক গলে চিৎকারে বের হতে গিয়ে কেঁপে ওঠে অসহায় ঠোঁট!
ঠিক তখনই ঠোঁট দুটো দাঁতে কামড়ে ধরি,
কাঁপা ঠোঁটে এঁকে দেই একফালি ঝলমলে রূপালী চাঁদের হাসি!
কষ্ট পেয়ো না, এভাবে ভেঙে পড়ো না!
নিজেকে নিজে বলি!
জীবনের কানে কানে ফিসফিস করে বলি,
ও জীবন তোমায় বড্ড ভালোবাসি!

আর এই যে জীবন,
জীবনটা তো আমার একার নয়!
এ জীবনের সাথে জুড়ে আছে আরো কিছু নিষ্পাপ প্রাণ।
জুড়ে আছে, মিশে আছে, তাদের আগামী ভূত-ভবিষ্যত!
অন্তত তাদের স্বার্থে কষ্ট হলেও মেনে নিতে হয়!
হাসতে হয়, বাঁচতে হয়!
মেনে না নিয়ে যে উপায় নেই!

জীবনে যা চেয়েছি অধিকারে যা কিছু ছুঁয়েছি,
তার সবই এক এক করে হারিয়ে যেতে দেখেছি।
আমি হারিয়ে ফেলেছি প্রিয় থেকে অধিকতর প্রিয় কিছু!
ব্যক্তিগত ভীষণ পছন্দনীয় যা কিছু ছিলো একান্ত আমার অধিকার।
কত যত্নে আগলে রেখেছি মনের যত্ন কোটরে,
সাজসজ্জা মূল্যবান অলংকার পরিপাটি শৃঙ্গার বিলাসিতার সবটুকু ছিলে তুমি,
গোটা একটা জীবনের আরাধ্য ছিলে,
শুধু তুমিই ছিলে আমার একমাত্র প্রেরণা জীবন চলার।

আমি জেনে বুঝেই অনেক দিনের গচ্ছিত প্রত্যাশা, অঙ্কুরিত আশালতা উপড়ে ফেলেছি,
ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছি একতরফা মায়া!
যত স্বপ্ন সাধনা ছিলো মনে, নিজ হাতে ভাসিয়ে দিয়েছি সব!
আমি ভাসিয়ে দিয়েছি তোমাকেও ক্ষতবিক্ষত হৃৎপিণ্ডের রক্তস্রোতে!
খানিক বাঁচতে চাই, বুক ভরে শ্বাস নিতে চাই এবার!

===========