মানুষের দম্ভ, মিথ্যা অহমিকা, যেন এক বিষের স্রোত,
যা ক্রমশ পৃথিবীকে বিষাক্ত করে তুলছে।
যতই দিন যাচ্ছে, ততই মনে হয়—
হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর শান্তির আলো।
মানুষ নিজেকে নিজেই ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে!
যাচ্ছে এক এমন পথে যেখান থেকে—
একদিন হয়তো ফিরবার আর পথ থাকবে না।

একসময় এই পৃথিবীটা ছিল সবুজ,
নীল আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে ভেসে বেড়াতো মানুষের স্বপ্ন।
কিন্তু আজ অহংকারের রোশনাই সব শুষে নিচ্ছে।
বাতাসে মিশে আছে বিষাক্ততার এক তিক্ত গন্ধ!
যেন তিলে তিলে ভেঙে যাচ্ছে প্রকৃতির বুক।

মানুষ প্রতিনিয়ত'ই নিজের চারপাশে গড়ে তুলছে এক অদৃশ্য দেয়াল!
একটা দেয়াল যা, তাকে প্রকৃতি থেকে আলাদা করে দিচ্ছে,
যা তাকে বন্ধ করে দিচ্ছে জীবনের সুখ সমগ্র থেকে,
বন্ধ করে দিচ্ছে সংবেদনশীলতা থেকে।
কীভাবে যেন ভুলে যাচ্ছে—
এই মাটির গভীরে তার শিকড়, যে শিকড়ে লুকিয়ে আছে তার অস্তিত্ব।

অহংকারের এই দহন আজ ক্রমাগত পৃথিবীর স্নিগ্ধতাকে পোড়াচ্ছে।
যেন এক বিভ্রান্তির মহাসমুদ্র!
যার মধ্যে প্রতিনিয়ত ডুবে যাচ্ছে মানবতার সূর্য।
মানুষের চোখে আজ নিজের প্রতিচ্ছবির ছায়া ভাঙা, চূর্ণ-বিচূর্ণ।
অথচ এই প্রতিটি ছায়ার আড়ালে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর কান্না।

পৃথিবী যদি কথা বলতে পারত, হয়তো বলত—
"থামো, এই অহমিকার রোষানলে আমাকে আর পোড়িও না।
মুক্তি দাও আমাকে এই বিষাক্ত আবরণ থেকে।"

==========