নাম না জানা চপলা এক ময়ূরী,
হৃদয় জানালায় একদা তুলেছিলো সুনামি।
স্বপ্নের মতো ছুঁয়ে গিয়েছিল অলস সারাক্ষণ,
আলোকিত করেছিল, অবুঝ তরুণ মন।
আজ সে নীলিমা অজানা সুদূরে,
নিভৃতে ঢেউ তুলছে স্মৃতির অম্বরে।
অবাস্তব সে রূপের ছায়া,
তবু প্রতিটি হেয়ালি বিকেলে,
বর্ষার আগমনে,
অথবা নির্ঘুম রাতের ঘোরে,
তাহাতেই চলে অবুঝ মনের আলাপন।
শয়নে, স্বপনে, একাকী জাগরণে,
মনের স্রোতে ভেসে আসে তার ছন্দ।
যেনো ফিরে আসে অসীম নীরবতায় আনন্দ!
হৃদয়ের জানালায়, ডামাডোল বাজায়।
অচেনা, অদেখা কন্যা'য়।
হয়তো আজ সে দূর, অবাস্তব,
তবু তার স্মৃতি আছে, রয়ে গেছে অবিনশ্বর।
নীরবে, সঙ্গোপনে, মনের অগোচরে,
সে নীলিমা আজও তরঙ্গিত!
জেগে ওঠে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে,
তারই স্মরণে আজও বন্দী এ মন।
হৃদয় জানালায় নীলিমা একদা—
তুলেছিলো ঢেউ,
তুলেছিল যৌবনের বন্যা।
সে ছিলো কেমন!
কি ছিলো তার রূপের খেলা!
স্বপ্ন ভেলায় ভাসালো মধুর মায়া।
আজ সে নীলিমা সুদূর, অনামিকা,
স্মৃতির অম্বরে রূপের প্রতিমা।
অবাস্তব যেন, তবু অমলিন!
হয়তো হারিয়েছে, তবু রয়েছে স্পন্দন।
হেয়ালি বিকেলে, বর্ষার মেঘে,
অথবা সেই নির্ঘুম রাতের নীরবতায়,
তারই স্মৃতি ভাসে, তারই কথা বাজে,
শয়নে, স্বপনে, একাকী জাগরণে।
অবুঝ মন জানে না সে দূরের কথা,
তারই স্রোতে ভাসে, তারই আলাপন।
যৌবনের ঢেউ, স্মৃতির নীলিমা,
হৃদয় জানালায় সে আজও স্বপ্নের ছায়া।
========