সমাজের বুক আজ ক্ষতবিক্ষত।
রক্তের দাগ লেগে আছে তার প্রতিটি শিরায়,
যেন সময় থেমে গেছে কোনো রক্তাক্ত স্মৃতির মধ্যে।
বোমার গর্জনে থরথর করে কেঁপে ওঠে মানবতার ভিত।
আমরা চুপ করে থাকি তাকিয়ে!
অথচ কাঁপে না শুধু মাটি, কাঁপে আমাদের বিশ্বাস, আমাদের আশা।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি তুঙ্গে! উঠেছি উন্নতির শিখরে।
কিন্তু কোথাও যেন হারিয়ে গেছে মানবতার পথ।
প্রযুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত সভ্যতা আজ নতজানু অন্ধকারের কাছে।
দ্বন্দ্বের ঘূর্ণি টেনে নেয় নিচে, খুব নিচে!
যেখানে মনুষ্যত্বের আলো ম্রিয়মাণ।
কে নিয়ন্ত্রণ করে এই রক্তস্রোত?
কে দাঁড়িয়ে আছে ধ্বংস মঞ্চের আড়ালে?
আমরা কি জানি? নাকি জেনেও চুপ থাকি?
ধ্বংসের খেলায় নির্দেশ দেয় যে হাত, তার রক্ত কি আমাদের মতোই লাল?
প্রশ্নগুলোর উত্তর আজও অজানা,
আর সেই অজানা উত্তরই, ভয় আর অস্থিরতায় আরও গভীরে ঠেলে দেয়।
কেন এত আওয়াজ? কেন এত ধ্বংসের শব্দ?
জীবন, যা একসময় শান্ত নদীর মতো বয়ে যেত,
আজ তা যেন রুক্ষ মরুভূমির মতো।
প্রতিটি মুহূর্তে বয়ে বেড়াই এক অদৃশ্য ভার,
যেন শান্তি এক বিলুপ্তপ্রায় পাখি।
তবে কি আমাদের আর আশা নেই?
পাবে কি আবার শান্তি খুঁজে এ রক্তস্নাত পৃথিবী?
আমরা কেবল প্রশ্ন করি, উত্তর খুঁজে পাই না।
রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখি,
কিন্তু জানি না সেই স্বপ্নে, আছে কতটা সত্যের ছোঁয়া।
========