অতীতের কোনো এক কালে,
প্রকৃতির কোল ছিল মানবজীবনের অভয়ারণ্য।
গাছের ছায়ায়, নদীর বুকে আর পাখির কূজনে—
গাঁথা ছিল প্রাচীন জীবন।
সেই পরিবেশ ছিল নির্মল, ছিল স্বচ্ছ ও সুন্দর।
সূর্যের আলোয় রাঙানো সবুজ বন,
নিঃশব্দের রজনীতে জোনাকির নাচন,
সব মিলিয়েই ছিল এক পরিপূর্ণ পরিবেশ।

তখন জানতাম, সুস্থ সমাজের মূল ভিত্তি সুস্থ পরিবেশ।
পূর্বপুরুষরা তাই প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছিলেন।
গাছপালার পরিচর্যা, জলাধার রক্ষা, জীববৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা—সবই ছিল তাদের জীবনের অঙ্গ।
কারণ তারা জানতেন, প্রকৃতি রক্ষা করলে প্রকৃতিও আমাদের রক্ষা করবে।

কিন্তু আধুনিক জীবনের চাপে আমরা সেই শিক্ষাকে বিস্মৃত হয়ে গেছি।
এখন শুধু উন্নয়নের নামে গাছপালা হয় কাটা, নদীনালা করা হয় ভরাট।
বায়ুদূষণ, জলদূষণ, শব্দদূষন—
সবাই যেন আমাদের অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।
এই দূষিত পরিবেশে মানুষ ভুগছে বিভিন্ন রোগে,
মন বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন।

তাই আবার ফিরে যাওয়া উচিৎ সেই প্রাচীন শিক্ষায়,
বুঝতে হবে প্রকৃতির গুরুত্ব।
গাছ লাগাতে হবে, রক্ষা করতে হবে জলধারা,
বায়ু ও জলকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
শুধু তাহলেই পাবো সুস্থ, সুন্দর এক সমাজ।

প্রকৃতি আমাদের মা, আর মা’র যত্ন নিলে মা-ও আমাদের যত্ন নেবে।
সুন্দর পরিবেশে শ্বাস নিতে পারলে,
আমরা শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও সুস্থ থাকবো।
তবেই গড়ে উঠবে এক সত্যিকার সুখী সমাজ,
যেখানে প্রকৃতি ও মানুষ মিলেমিশে বেঁচে থাকবে চিরকাল।

=========