বাঁচাও , বাঁচাও, বাঁচাও শুভ্র নীল গগনতলে
আমার সাড়া দেহে যে আগুন জ্বলে ।।
আমি যে আছি শূন্য এই অভিশপ্ত মাঠে
বিশ্বাসের অন্ধকারে,অবিশ্বাসের কাপড় হাতে ।।
ঐ দেখ শাখা নোয়া হাতে,নুপুর পায়ে,সিন্দুর কপালে
অভিশাপের রাত্রে, অভাগীর চাদরের আড়ালে
জোৎস্নার আলোয় নদীর স্নিগ্ধ জলের বুকের উপর
রক্ত মাখা নিষ্প্রাণ,নির্জীব এক বিবস্ত্র শরীর ।
সপ্ন ভাঙ্গার নিস্তব্ধতার সাথে
বলছে সে কেউ কি আছো আমার জন্যে,
একটি ছেঁড়া কাপড় যদি থাকে
দাওগো ছুঁড়ে আমার এই নগ্ন লাশের জন্যে ।।
দূর থেকে ছুটে আসে ঐ, মরা মেয়ের বাবার শব্দ
'আমার মেয়েকে কেউ বাঁচিয়ে দাও, কেউ একটা কাপড়
এনে দাও, কেউ তো এসো' - চারদিক তবু স্তব্দ ।।
না.....!! না......!! দেখো না আমায় ক্রোধের আগুনে তোমরা,
আমি যে নই দুঃশ্চরিত্রা,কুলটা,কলঙ্কিনীর ভ্রমরা ।।
ভালবাসায় চেয়েছিলাম শুধু তোমার ভালবাসা
বুঝিনি ছলনার জোত্স্নায় ছিল তোমার লালসা ।।
তীব্র শীতে আমার বিশ্বাসের সেই নিশিরাতে
সপেছিলাম আমায় তোমার তোমাতে ।।
ভালবাসায় ছিল না কোনো শর্ত
আমার কাছে তুমিই যে ছিলে সর্বস্ব ।।
নিয়েছিলাম তোমার সব দুঃখ,কস্ট, যন্ত্রনা
দিয়েছিলাম আমার সুখ,আনন্দ,ভালবাসার বন্দনা ।।
সেই তুমিই করলে আমার সর্বস্ব হরণ
বলছে দেখো হয়েছি আমি ধর্ষণ ।।
করলে আমাকে উত্তরবিনা প্রশ্নের কারণ
জানে না আসলে তুমিই যে গল্পের রাবণ ।।
কাম রসের তোমাদের লালসার ছোঁয়ায়
আমি আজ হয়েগেলাম উছিস্টের পাতায় ।।
কান পেতে শোনো ঐ দগ্ধ নারীর রক্তঝরার ক্রন্দন
রক্তের খাঁচায় তরপায় যে ভালবাসার স্পন্দন ।।
নিঃশব্দে চিত্কার করে বলছে সে,বলোনা আমায় এমন,
হয়েছে দেখো আজ এই মেয়েটা ধর্ষণ, ধর্ষণ, ধর্ষণ ।।
রচনাকাল : ইং - ৩০।০৫।২০১৪