ভাগীরথী কে কাঁদতে দেখে, সাগর তারে শুধায় ডেকে
কেন অশ্রু তোমার চোখে ? ওই পারে  কি ধর্ম গেছে বেঁকে ?
ভাগীরথী কয় কত কি যে হয়, মা কেমনে মেয়ের অপমান সয়?
শিক্ষা, স্বাস্থ্য সকলই পাপময়, কেমনে দেখিব হেন অবক্ষয়!

মেয়ে রোগীর সেবা করে , গিয়েছিল তখন বিশ্রামাগারে,
সাহায্য চেয়েছিল করুন স্বরে, অভিশপ্ত সেই ভোরে।
আমার সামনে জ্বললো চিতায়, পারলাম না আমি বাঁচাতে হায়!
জন্ম আমার শিবের জটায়, তবে কেন আমি এত অসহায় ?

দুঃখিনী মা একরাশ চোখের জলে, অস্থি খানি ভাসিয়ে দিল আমার কোলে,
শিক্ষাঙ্গনে এমন হলে, নারী পাবে সুরক্ষা কোথায় গেলে?
আদিশক্তি যে দেশে মাতৃ রূপে পূজিতা, সেই দেশেই মায়েরা নির্যাতিতা !
সম্মানের সহিত বাঁচুক সব মাতা, তারপর বলো "যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা।"

অসুরেরা এখন সুখেই আছে, অনেক টাকা ওদের কাছে,
আইন ওদের ছন্দে নাচে, নেতারা ওদের নিয়েই বাঁচে।
যুগ যুগ ধরে দেখছি রক্ত, মানুষ ক্রমে হয়েছে বিষাক্ত
শাসন তবু হয়নি শক্ত, সবাই নিজের স্বার্থের ভক্ত।

উত্তর দিল ক্রোধিত সাগর তখন, শাস্তি ওদের হবেই বিলক্ষণ-
অসুরদের যারা করছে সমর্থন, সমান পাপী তারাও জেনো ওহে পতিত পাবন,
নারীর সম্মান করতে রক্ষন, বারে বারে তিনি আবির্ভূত হন,
একই অপরাধে হয়েছে নিধন, রামায়ণের রাবণ আর মহাভারতের দূর্যোধন।