আমাদের শান্তিনিকেতন সে যে সব হতে আপন-
ভঙ্গ হলো পাঁচ বছরের বন্ধন কাঁদে তাই অবুঝ মন!
গুরুদেবের এই পবিত্র প্রাঙ্গন দিয়েছিল নূতন জীবন।
মাধমিক এর শেষে এসেছিলেম লালমাটির দেশে-
গ্রাম ছেড়ে এসে মন কিছুটা খারাপ ই ছিল নূতন পরিবেশে,
বুঝিনি কখন বিশ্বভারতীকে ভালোবেসে এক হয়ে গেছি মিশে-
পূর্ণ নামের এক রামদাসকে প্রথম বন্ধু রূপে পেলাম পাশে।
শিক্ষাসত্রের অচেনা মানুষেরা দিয়েছিল আমার ডাকে সাড়া-
দুটো বছরে কত কি শেখাল এরা ;
অবশেষে সমাপ্ত হল প্রাক স্নাতক পড়া -
আবার সূচনা এক নব অধ্যায়ের ছাত্র হলাম শিক্ষাভবনের,
হটাৎ করে সান্নিধ্য পেলাম লাস্টবেঞ্চের বুদ্ধিমান সদস্যদের।
ছোট্ট খাটো একটা ছেলে বালুরঘাটের প্রিয় হল আমাদের-
তারপর সুযোগ এল সান্নিধ্যের এক এসরাজ বিষারদের।
সিউড়ির দুই নিরীহ শান্ত ছেলে তাদের কি আর জুড়ি মেলে!!
অবশেষে এই মহান দলে কোপাই এর এক মহাপুরুষ যোগ দিলে!
হটাৎ আবির্ভূত হলেন অঙ্কিত তার পিছু পিছু এল দাদুর নাতি সামিত;
পূর্ন ছাড়া এই দলটার সর্বদা করেছে হিত,ও দিত আনন্দ আশাতীত।
সেই মনে পড়ে আশ্রম মাঠের ক্রিকেট খেলা আর মহালয়ার আনন্দমেলা,
বসন্তের সাজে সজ্জিত ছাতিমতলা আর রতন পল্লীতে আড্ডার সন্ধ্যাবেলা-
ক্লাসের মাঝে বার বার কানে কানে কথা বলা খুবই কষ্টকর তাকে ভোলা।
ক্লাসের খাতার ছবিতে বানানো পিডিফ এর দান বাঁচিয়েছে অনেক সম্মান,
সারা রাত জেগে করা পার্টি গান করেছে অফুরন্ত অনন্দ প্রদান-
কখনো ছিল না কোনো মান অভিমান আমাদের গ্রুপ সবসময় মহান।
মনে পড়ে সারারাত জেগে হটাৎ ভ্রমণ তারাপীঠ সেই দিন গুলো আজ অতীত!
দীপান্বিতা প্রিয়াঙ্কা পৌলমী সংঘমিত্রা তৃষা রুমা আর মন্জিষ্ঠা,
খুব সুন্দর ছিল গঠনমূলক কাজে তোদের প্রচেষ্টা-
তোদের জন্যই সুগম হয়েছিল দেউল যাওয়ার রাস্তাটা।
অরুনিমা অর্ঘ্য দীপেন্দু শুভদীপ সাইলি শুভম ইয়াসিন অপূর্ব -
সত্যি তোরা কত সচেতন ছিলি করতে তোদের কর্তব্য।
আমার ডিপার্টমেন্টের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক দের স্নেহের শাসন,
আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে করতে হয় অসাধ্য সাধন।
এই পুন্য ভূমি ছেড়ে বিদায় নিতে হবে জানিনা আবার আসবো কবে ঘুরে?
তবে যেখানেই যায় শান্তিনিকেতন যাবে না কখনই হৃদয় থেকে দূরে!
মনের মাঝে প্রেমের সেতার বাধা থাকবে গুরুদেবের গানের সুরে।।