ইচ্ছা করছে আলোর বেগে ছুটি,
কালো মেঘে ঘিরেছে চারিদিক।
দিক ভুলে আবার যদি ফিরি,
বৃষ্টিতে যে ভিজবো আমি ঠিক।
পুরানো স্মৃতি দিচ্ছে যে হাতছানি,
কাছে যেতেই উধাও হলো ফের।
রদদেন্দ্রনে ভরেছে পথ ঘাট,
আমার ফিরতে বাকি আছে আজ ঢের।
ঢেউগুলো আজ আছড়ে পড়ছে খুব,
নিম্নচাপের প্রভাব সেটা জানি।
মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর টা যে আজ,
দিগন্ত পারে দিচ্ছে যে হাতছানি।
বৃষ্টি ফোটা পরছে বালির পর,
হারিয়ে যাচ্ছে চুম্বনের ই শেষে।
ময়ূরপুচ্ছ ধার করে আজ কাক,
সেজেছে দেখো আজ সেই রাজ বেশে।
ঝড়ো হাওয়ায় একটু শান্তি পাই,
উড়িয়ে নিয়ে যায় যেন সবকিছু।
উড়ে গেলে দামি কিছু তার সাথে,
আমি না হয় করবো তাহার পিছু।
পশলা কয়েক বৃষ্টি পড়ার শেষে,
এটাই ভেবে একটু শান্ত হই।
জ্বলছিল যে আগুন ধিকি ধিকি,
সেটা নেভায় আমিতো দায়ী নই।
লালচে নদী ফুঁসছে ধীরে ধীরে,
জলস্তরও ক্রমশই শুধু বাড়ে।
ভাসিয়ে নিয়ে যায় যদি ফের মোরে,
সেই ভয় আর যাচ্ছি না আজ পারে।
পোড়া পোড়া গন্ধ আসে নাকে,
কোন খানেই জ্বলছে না যে কিছু।
চোখ বুজলেই কেন শুধু আজও,
দাবানল টাই করছে আমার পিছু।
তেপান্তরও ডাকছে আমায় রোজ,
পথের বাঁকেই হারিয়ে যেতে চাই।
অজানা কোন নির্জন বনানীতে,
মন শুধু চাইছি একটু ঠাই।
ধানের শীষে ভোরের আলো পড়ে,
মাতাল করে করবি মাখা হাওয়া।
চেনা রাস্তাটা আজ অচেনা খুব লাগে,
কতদিন সেথা হয়নি যে আসা-যাওয়া।
কুয়াশাও আজ ছলনা করছে দেখো,
লুকিয়ে রাখছে আঁচলেতে সব ব্যথা।
ব্যস্তবাগীশ পাহাড় যদি জানে,
শুনবে সে কি তাহার সকল কথা ?
ছুটছে দেখো রেল গাড়িটা আজ,
সবুজ চিরে, কালো ধোঁয়ায় আকাশ যাচ্ছে ভরে।
অপু-দুর্গা ও দাঁড়াতো ক্ষেতের ধারেই,
বন্ধু তোমার সে কথা কি মনে পড়ে।
কাশফুল তুমি খুঁজছো আমি জানি,
নেই তারা আজ চিহ্নমাত্র বাকি।
ইট-পাথরের শহরটা যে ধীরে ধীরে,
দিচ্ছে তোমার স্বপ্নকে শুধু ফাঁকি।
মানুষের ঠিক হিসাব পাইনা আজও,
অকারণে তাই খুঁজি না যে আর সুখ।
ভিড়ের মধ্যে এখনো যখন হারাই,
দেখতে পাইনা একটা আসল মুখ।
তাই প্রলাপ লিখি কাগজে কলম দিয়ে,
মেলাতে যাই হাজার পুরনো ভুল।
সাঁতার জানি না মাঝ গাঙ্গে তবু আজও,
অকারণেই খুঁজে চলেছি কুল।