এবার তাকে দিয়েই দিও ছুটি।
নিজের মতো আকাশে উড়তে পারো।
শীতের শেষে বসন্ত এসে গেলে
পরিযায়ী, তুমিও ঘরে ফিরো।
বিরহও এখন বিলাসিতা লাগে
তবু সুখ টা, আজও সত্যিই খুব প্রিয়।
এবার নতুন প্রতিজ্ঞা দের কাছে
ঠোঁটের হাসির ঠিকানা লিখে নিও।
অভাব যখন মনে বসায় থাবা
প্রয়জনটাই বাড়ায় দিনকে দিন।
প্রচুর থেকে যে চায় আরো বেশি
সুখ তার কাছে হয়েছে ক্রমশ ক্ষীণ।
মন খারাপের মনসুন থেমে গেলে
প্রথম খবর রুমালই শুধু পায়।
শুকনো পাতা গাছ থেকে ঝরে
শুষ্ক মাটির উত্তরীয় হয়।
হিসাব যখন মেলে না পাতার শেষে
আর্তনাদ ও নিশ্চুপ হয়ে যায়।
বেহিসাবী মনটা তখন আবার
নতুন পাতার অঙ্ক খুঁজে নেয়।
ঘুমের দেশে হাত ছেড়েছিল যারা
তারাও এখন অবিরত রাত জাগে।
একলা থাকার দীর্ঘ রাতের শেষে
ব্যাথাগুলো সব স্বপ্নের মতো লাগে।
আকাশ যখন মুখটি কালো করে
বৃষ্টি তখনই স্পর্শ করে মাটি।
কষ্টি পাথর কিন্তু সবই জানে
সোনা তুমি নকল নাকি খাঁটি।
মানভঞ্জন করতে গিয়ে যখন
মন ভেঙে যায় অচেনা কোলাহলে।
ভালোবাসাও ঠিক তখনই যেন
ভেসে চলে যায় অলকানন্দা জলে।
আখের গোছাতে সকলেই খুব পটু
জমদুত চোখে চিতাও আসলে আলো।
সবাই সামনে অভিনয় ভালো করে
তুমি ডুবে গেলে গঙ্গা বইবে কালও।
যাযাবর তুমি ফিরতে চেও না আর
নেই আজ কেউ তোমার প্রতীক্ষায়।
আগুন লাগলে শুকনো পাতার ঝাড়ে
সব শেষে শুধু ভস্ম পরে রয়।
সময় যখন দেওয়াল ঘড়ির কাঁটায়
আটকা পড়ে পুরনো স্মৃতির বাঁকে।
ব্যাস্তবাগিস মন কি তখন আর,
পুরনো দিনের হিসাব মনে রাখে।
সুযোগ বুঝে হারিয়ে সবাই যায়
অস্তিত্ব ও বিলোপ হয় যে জানি।
ফিরে এলে পুরনো কিছু আবার
নিয়ে আসে হাজার হয়রানি।
নামহীন এই বাক্যালাপের ভিড়ে
বিদ্ধ হয় যে একটাই কুসপুতুল।
সত্যি যখন অস্তিত্ব কে করে প্রশ্ন
ভেঙে যায় শুধু হাজার পুরোনো ভুল।
তাই নামহীন তুমি থেকো তোমারই মত
অস্তিত্ব র আর করোনা তুমি নেশা।
নামকরনের ধার বাকি সব চুকিয়ে
আমি নিজের পাল্টে ফেলেছি পেশা।