মৃত্যুটা আজ বড় বেহিসাবি,
এ এক অকস্মাতের দেশ।
সংখ্যা ই শুধু হয়ে গেলো রয়ে
ব্যথার নেই যে রেশ।
হাতুড়ির ঘাতে কফিনের পেরেক,
বেঁকেই শুধু যায়।
কাঠটা চিরে বেরিয়ে আসে,
কাজে লাগে না যে হায়।
সাদা ফুল গুল ,
হয়ে যায় ফিকে, সান্ধ্য ক্ষণের শেষে।
দিনের আলো হারিয়ে যায় যে,
সন্ধ্যা নামার রেশে।
শুকিয়ে যায় যে, চোখের জল ও,
আপনও ভোলায় স্মৃতি।
বেঁচে থাকাটাই আসল যুদ্ধ,
মৃত্যুতে সব ইতি।
রক্ত টানও ঢিলে হয়ে যায়,
মাস বছরের শেষে।
স্মৃতিগুলো শুধু হয় যে পুরনো,
নবীন আসে সেথা নব বেশে।
চিতার তাপও হয় যে ঠাণ্ডা,
কবরেতে ঘাস বাড়ে।
সময়ের সাথে অনুভূতি আর,
কড়া নাড়ে না মনের দ্বারে।
মুখ গুলো শেষে হয়ে যায় ফিকে,
আর মনে পড়ে না যে রোজ।
আকস্মিক - ই মৃত্যু আসে,
হটাত হয়েও যায় নিখোঁজ।
বাঁচার নিয়মও বদলে যে যায়,
স্মৃতি গুলো, ফেরে না যে প্রতিদিন।
কথা গুলো তার মনের গহীনে,
হয়ে যায়, ধীরে ক্ষীণ।
তাই বেঁচে থাকতেই ভালবেসো তারে,
মৃত্যুতে সবই শেষ।
ভালবাসা – স্নেহ আর থাকে না যে পরে,
শুধু থাকে, ছাইয়ের অবশেষ।
তাই, মৃত্যুকে তুমি দিও না সাহস,
বাঁচো, জীবন আড়ম্বরে।
দিনের শেষে রাত আসলেও,
দিনও আসবে রাতের পরে।
মৃত্যুতে আসলে, হয় না যে ইতি,
মৃত্যু জীবনেই মিশে যায়।
স্মৃতি গুলো সব সময় মেনেই,
জীবনের সাথে ধায়।