মেঘের উপর মেঘ জমেছে,
মুখ ঢেকেছে অন্ধকারে।
বৃষ্টি তখন ফন্দি আঁটে
চোখের নজর ঝাপসা করে।

দক্ষিণ হাওয়া, হিমেল পরশ,
লাগলো যখন গোলাপ বনে।
ঝরা পাতা আজ গল্প শোনায়,
মন খারাপের আপন মনে।

ভেজা হাওয়ায় ভাসছে যে মাঠ,
বৃষ্টি পড়ে ঘাসের পড়ে।
না বলা সব কথা গুলো,
শ্বাসরুদ্ধ হচ্ছে ঘরে।

পুরোনো জামা হচ্ছে ফিকে,
সাবান জলে ঘষে ঘষে।
প্রেম গুলো সব জ্বলছে দেখো,
না জানা কোনো ভুলের রোশে।

বেজায় রোদে - ঝলসে গিয়ে,
কুড়চ্ছে কেউ ভালোবাসা।
আগলে রাখছে ভাঙা মনে,
না পাওয়া সব মনের আশা।

হলুদ ফুল টা ফুটেছে দেখো,
পাপড়ি গুলো উজাড় করে।
মৌমাছি টা আসবে আশায়,
মধু টুকু তার নেবে ভরে।

এলো ও মাছি, ভরলো মধু,
অন্য একটা ফুলের থেকে।
চলে গেলো তাকে ভুলে,
বাগান মাঝে একা রেখে।

সন্ধে বেলায় আঁধার সাথে,
ঝরলো সে ফুল মাটির পর।
মিলিয়ে গেলো মাটির সাথে,
জমলো ধুলো তার উপর।

এই ভাবে কত গল্প জানো,
শেষ হয়ে যায় হটাৎ করে।
খুঁজলে স্মৃতি অনেক করে,
কিছু কিছু মনে পড়ে।

ভুলে তখন সকল ব্যথা,
উঠে দাঁড়ায় আবার মন।
আবার ছুটে বেড়ায় পথে,
শুরু করে যে দিনযাপন।

সেই একই বৃন্তে ফুটে ওঠে,
আবার নতুন হলুদ ফুল।
পাপড়ি গুলো মেলে বলে,
আমিই ঠিক, আবার আমিই ভুল।

ঠিক ভুলের এই গল্পগাথার,
নেই যে কোনো অবসান।
তাই রাখলে মনে সবই জটিল,
ভুলে গেলেই সব আসান।