আসমানী
আসমানীরা নেইরে দেশে,পল্লী কবি ভাই,
রসুলপুরে রহি মদ্দীর,ছোট্ট বাড়ি নাই।
বিজলি বাতি জ্বলে সেথা, আসমানীদের
ঘরে,পোড়া মাটির ঘরে থাকে,
বৃষ্টি নাহি পড়ে।
ভেন্না পাতার ছানি পুড়ে, করে দিছে ছাই
আসমানীরা এখন-তো আর, আগের মত
নাই।
পেটের ক্ষুধা নেইতো আর, সেই সময়ের
পরে
দু' মুঠো ভাত আছে এখন, আসমানীদের
ঘরে।
মিষ্টি হাসি সদা ভাইরে, থাকে মুখের পর
সুখেই আছে তবে মাঝে, উঠে একটু ঝড়।
পরনে তার শতক তালির, নেইত
ছেঁড়া বাস
নিত্য নতুন পোশাক পরে, রয়
না উপবাস।
ভোমর কালো চোখ দু'টিতে, থাকে কৌতুক
হাসি
তবে সেথায় ছোট্ট বড়, আছে দুঃখ রাশি।
বাড়ির ধারে পদ্ম পুকুর, নেইতো তেমন
আর
ব্যাঙ্গের ছানা শ্যাওলা পানা,
খুঁজে পাওয়া ভার।
ম্যালেরিয়া নেইত তেমন,
আছে মশা জলে।
রাতে দিনে কামড়া কামড়ি, ভালোই
তবে চলে।
পুকুর জলে আসমানিরা, রান্না আর
না করে
পেটের পিড়ায় আসমানিরা, তেমন
না আর মরে।
আসমানীরা কাজ করে আজ, হাওয়ায়-
জল-স্থলে
আসমানীদের হাতে এখন, দেশের
চাকা চলে।