সময়ের মৃত্যু হলে….
সেখ নাসিম আহাম্মদ।
বিশ্বে আজ বিপণীর বিশ্বায়ন;
রঙ্গিন মোড়কে পণ্যের দৃষ্টি-আকর্ষণের পদ্ধতি পুরান হয়েছে।
মোড়কের সাথে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পণ্য-ও।
সংজ্ঞা বদলেছে বিপণীরও; উন্মুক্ত বাজারে আজ নক্ষত্রের মেলা;
তাদের নিত্য হুটোপাটি লেগেই আছে ‘বড়’ কে?
বিপণীতে মেলে-- বুদ্ধি, ভয় ,লোভ, ভক্তি, ও চোখের মতন সামগ্রী।
বিবেক বশীভূত ক্ষমতা লিপ্সু বুদ্ধির কাছে;
মুক্ত কণ্ঠের আওয়াজ স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্ধকার কুঠুরিতে;
উচ্ছাসিত ভক্তকুল, পৈশাচিক উন্মাদনায় রাঙা করে ফেরে মাটি।
যাঁদের চোখ বিদ্যমান, আতস কাঁচের নিচে তাঁদের খুঁজতে হয়;
যাঁরা অন্ধ, তাঁরাই দেখছেন সর্বদর্শীর মতন সবকিছু;
হাল ভাঙ্গা নাবিকের মতন দিশাহীন, আজ বিদ্বান ও তার্কিক গণ;
অলির সন্ধানে ফুলেরা বিচরণ করে নগর থেকে নগরে;
মধু লোভী অলি ফুলে বসে গেলে, ফুল বসে হাসে তার বৃন্তে।
অধুনা পণ্যকে বাজার-জাত করার পরই পণ্য আসে বাজারে।
বাজারের আকাশে কালো মেঘের তরঙ্গ থেকে ভেসে আসে ধর্ম-আহ্বান;
অসহায় স্বপ্নের পঞ্জর-স্তূপে কল্পিত সংকল্পের কৌশলী প্রতিষ্ঠা;
সভ্যতারও ক্লান্তি আসে, হারবেই একদিন সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা।
হয়ত একদিন--
কোন এক নক্ষত্র আলো হাতে এসে দাঁড়াবে, সময়ের মৃত্যু হলে;
তাঁর আগমনে!
কালো মেঘ থেকে ঝরে পড়বে স্নিগ্ধ বারিধারা;
রঙধনু ফিরে পাবে তার রঙ, পাখিরা গেয়ে উঠবে তাদের গান;
বাজার ফিরে পাবে তার বৈচিত্র্যের বাহার;
সে গরবির হাসি হাসতে হাসতে দেখবে, তার তারকা-মণ্ডলীর সুখ-সাম্রাজ্য।