স্বপ্ন দেখানো ফেরিওয়ালা।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।
হে অধুনা রাজাধিরাজ, যে বলে আপনি বলিয়ান,
অস্থায়ী সেই মসনদ, তাহা কিভাবে ভুলিয়া যান!
সাংবিধানিক অধিকার,
বঞ্চিত হইল যাহার,
চলিতেছে পরিকল্পনা যাহাদের করিতে পদদলিত,
হইতে হইবে একদিন তাহাদের সমান অবহেলিত।
নাগরিক পঞ্জি করণে যাহারা হইল না তালিকা ভুক্ত,
দিন দিন বন্দি শিবিরে রহিয়াছে নির্যাতিত অভুক্ত।
কারাগারের অন্ধকারে,
ডুবাইয়া মারিছ যারে,
এই ভূমিতেই কয়েক পিঁড়ি করিয়াছে অতিবাহিত,
হইতে হইবে একদিন তাহাদের সমান অবহেলিত।
শত শত পরিযায়ীর প্রাণবায়ু শেষ হয় পথ প্রান্তরে,
মিছে নয় পিছে দেখ যমরাজ দাঁড়িয়ে আছে দ্বারে।
কোভিডের রুদ্ররোষে,
দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে,
নিষ্ফলা তালা বন্দিতে কোভিড আক্রমণ অব্যাহত,
হইতে হইবে একদিন তাহাদের সমান অবহেলিত।
কোথায় গেল সেই শুভদিন পেলাম না তো দেখা তার,
জিডিপি তে জমেছে বরফ বাড়ছে কোটি কোটি বেকার,
একে কোরোনার মার,
দিশা নাই চিকিৎসার,
মনের কথা বেতারে শুনিয়া দেশবাসী চরম বিভ্রান্ত,
হইতে হইবে একদিন তাহাদের সমান অবহেলিত।
মিথ্যা মায়াজালে ভগবান কে পণ্য করিয়াছ বারবার,
মারিয়া লাঠি কৃষক দের আন্দোলন করিয়াছ ছারখার।
কৃষকের বন্ধু সাজি,
করিতেছ কারসাজি,
আত্মহনন বেকারিতে বিশ্ব-গুরুর পথে দেশ ধাবিত,
হইতে হইবে একদিন তাহাদের সমান অবহেলিত।
মিথ্যা আশ্বাসে ভরেনা পেট না ভরিবে দেবালয় নির্মাণে,
উপর্যুপরি সিদ্ধান্ত লয়ে আঘাত হানিতেছ আত্ম সম্মানে।
ভাবিতেছ সব আব্রুহীন,
মিডিয়ার মত হবে লীন,
সংখ্যার বলে লইতেছ তুমি একের পর এক সিদ্ধান্ত ,
হইবে না কি একদিন তুমি তাহাদের সম অবহেলিত।
আত্ম অহংকারে ডুবিয়া খরিদ বিক্রি তে তুমি মগ্ন,
ফিরে দেখ তোমার পূর্বসূরিরা কেমন হয়েছিল নগ্ন।
অসহায় মানুষের হায়,
ভগবান যদি শুনে নেয়,
ফিরে যাবার পথ পাবেনা তুমি সে এক প্রকার নিশ্চিন্ত,
হইবে না কি একদিন তুমি তাহাদের মত অবহেলিত।