সভ্য অসভ্য ও স্রষ্টা।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।

অল্পায়ু জীবনে, শত প্রশ্ন জাগে মনে, জবাব দেবে কে,
মানব জাতি নাকি সৃষ্টির সেরা, তাদের স্রষ্টা কে?
খাদ্য, খাদক নয়ত পরিপূরক, অভিজ্ঞতা থেকে মানি।
জীব জন্তুর, কীট পতঙ্গ, নিরীহ হিংস্র, যত প্রাণী।
উদ্ভিদ, তৃণ, আলো, বাতাস, মেঘ, পর্বত, নদীর পানি।
তাদের মাঝে নেই, কেন ভেদাভেদ, জাত পাত ও ধর্মের গ্লানি!
মানব ছাড়া মর্তের যত প্রাণী, তাদের ধর্ম কি?
জাত পাত ভেদাভেদে সৃষ্টি সেরাদের ধর্ম-ই বর্ম কি?
হিন্দু মুসলিম শিখ ঈশাই জৈন পারশিক ইহুদি নাস্তিক ক্রিশ্চান।
বুদ্ধি বলে জগত পদতলে, বিবেক হারিয়ে হয়েছে বিদ্বান।
ভোগবিলাশে অন্ধ মানব, চাই নারী আর বাড়ি গাড়ি।
বিজ্ঞানের সাফল্যে মানুষ দিয়েছে আজ গ্রহান্তরে পাড়ি।
আল্লাহ ঈশ্বর গড কে বেশি শক্তিমান, হয় কি তাঁদের হানাহানি।
জল আলো বাতাসে দখল কার, সেখানে নেই কেন হানাহানি।
মানবের মাঝে যদি, বিভেদ হানে ধর্মের বিধান,
সে ঈশ্বর আমি মানিনা, যিনি দিতে পারেন এমন বিধান।
সভ্যতার অগ্র গতিতে যেমন নাগরিক প্রমাণ পত্র ব্যবহৃত হয়।
বিধাতা কি চিহ্ন দিয়েছেন, যাদ্বারা ধর্মীয় পরিচয় প্রমাণ হয়।
আদিম থেকে সময়ের ব্যবধানে সভ্য থেকে সভ্য তর হয়েছে মানব।
প্রযুক্তির সাফল্যে মানব যত না মানব তার থেকে বেশি দানব।
একটি আঙুলের চাপ ধ্বংস করতে পারে গোটা একটি জনপদ।
বক ধার্মিকের ধর্ম বিধানে আতঙ্কিত কেন আদিবাসী জনপদ?
বিষাক্ত সূচি প্রয়োগে নেশাগ্রস্ত আজ যুব সমাজ।
ধর্ম গুরু দের প্রবচনে দ্বিধা গ্রস্ত কেন মানব সমাজ?
বিজ্ঞানের একের পর এক সাফল্যে যান্ত্রিক হয়েছে সামাজিকতা।
এর থেকে ভালো ছিল আদিম যুগ, যখন বিরাজ করত মানবতা।
আদিম যুগে মানুষের ছিলনা বিদ্যের বহর তাই তারা ছিল অসভ্য।
আধুনা শিক্ষায় যৌতুকে পাওয়া স্বার্থপরতা এখন ভবিতব্য।  
শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মানব দিন দিন হয়ে চলেছে দাম্ভিক।
সৃষ্টির মাঝেই রয়েছে স্রষ্টার অস্তিত্ব, স্রষ্টা তো নন দাম্ভিক।
সৃষ্টির শুরুতে সবুজের সমারোহে ভরা ছিল আমাদের ধরণি।
ধর্ম মানুন নিজের মত, সবুজ বাঁচাতে গড়ে তুলি এক তরণী।
ভুলে যাই জাত পাত হিংসা দ্বেষ কলুষতা ও বর্বরতা।
মানুষ সবাই সমান শ্লোগান হোক মানবতা।