পাথরের অশ্রু।
কলমে… স্বপ্ন ছায়া।
আচ্ছা! পাথর কি কাঁদে?
ডিনামাইট ব্লাষ্ট করে যখন তার নাড়ি ছেঁড়া হয়
কিমবা হাতুড়ির আঘাতে বা ক্যাচারে যখন তাকে কুচি কুচি
করে স্থানান্তর করা হয় তখন কি সে কাঁদে?
পাথরের বুক চিরে যে শীতল জল মনোরম ঝর্ণা রূপে
প্রবাহিত হয়ে নদ নদীতে বয়ে যেতে থাকে;
ওটা কি পাথরের অশ্রু?
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে নারীর নানা রকম কান্নার সাক্ষি কিন্তু
গোটা পৃথিবী। নারীদের ক্ষোভ অভিমান ক্রোধ প্রকাশের মুল
হাথিয়ারই হলো চোখের জল।
তাই বুঝি সমাজ মাতৃ-দিবস নারী-দিবসের মত
নানান শব্দালঙ্কারে তাঁদের ভূষিত করেছে।
নারী নির্যাতনের ভুরি ভুরি ঘটনা আছে আমাদের সমাজে।
সেই নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিন্তু বেশি সোচ্চার হন পুরুষরাই।
আর তাঁদের বরাতে জোটে নারী ঘেশা নারী লোভীর মত শব্দবাণ।
আচ্ছা পুরুষ-নির্যাতন কি হয়না?
হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকে?
যদিবা দু-এক জন কেউ চেষ্টা করেন তাঁদের নারী-বিদ্বেষী
তকমা সাঁটিয়ে নিরস্ত্রের প্রচেষ্টা করা হয় না কি?
রাতের অন্ধকারে লোক চক্ষুর অন্তরালে গোপনে চোখের জল
চোখেতেই আটকে রেখে গুমরে গুমরে গুরমো হয়ে যায়।
না পারে ফুটতে না টুটতে না কুটতে।
না অশ্রু নজরে আসে না যন্ত্রনা।
চোখের ভিতরে জমতে থাকা জলই কি ধীরে ধীরে একদিন
পাথরের রূপ ধারণ করে!
তাই কি পাথর ভাঙ্গার শব্দ এমন বিকট বিশ্রী কর্ণ বিদারক?
বিধাতার কি পরিহাস সেই পাথর ভাঙ্গার কাজটাও
পুরুষদের-ই করতে হয়।