ধর্মের বর্ম।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।
ধর্ম কি! পেশা, নেশা, না দিশা? নাকি ধর্ম আসলেই মুক্তির পথ।
তাহলে স্বধর্মে-ই ঠিকাদার দের মাঝে কেন হয় ভিন্নমত?
সভ্য সমাজে আজও কেন দেখতে হয় চরমতম ধর্মান্ধতা?
রক্তের সাগরে কার কি পাওয়ার থাকে? যত সব পাষণ্ডতা।
ক্ষমতার মোহে নীতি শিকে তুলে বসে হাসে রুধির প্রবাহে
মাটি লাল হওয়া ছাড়া, কি প্রাপ্তি ঘটে প্রাণের বিনিময়ে?
অণু সাদৃশ্য জীবাণু আতঙ্কে, ঠিকাদাররা লুকায়ে রুদ্রদ্বার।
কারো কারো আবার ষত্ব রয়েছে, সয়ং ভগবান রক্ষার।
“জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।
ত্রিশূলের আগায় নাচিয়ে নবজাতক, কেমনে পাবে ঈশ্বর!
হাম্বলি, সাফি, মালিকি, হানাফি, কেন মাজহাবি বিরোধ?
কোরান হাদিসে কোথাও আছে কি, পারস্পরিক বিরোধ?
আল্লাহ এক কোরানও এক, তবু শত দলে বিভক্ত যারা!
ইসলামী আইনে কি আছে বিধান, পথ ভ্রষ্ট করছে যারা।
ফিতরা ওশর জাকাতের যদি, করিত সঠিক বণ্টন।
ইসলাম মানা মানুষ কখনো, দেখিত কি অনটন?
কেন রসুলের নামে মাগিবে, ভিক্ষা ভিক্ষুজীবির দল।
তাবিজ কবচে জ্বিন ভুত ভাগাও, লেবাস ধারির দল।
ধর্মের বর্ম পরে ভিন্ন মতাদর্শি কে, কিভাবে বল কাফের।
অধিকার কি তোমার ‘কাফের’ কে বলিবে তুমি ‘কাফের’।
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার।
এ বানী মানুষের নয়, কোরান দিয়েছে উপহার।
তেইশ বছরের নবুয়াতে যিনি, যুদ্ধ করিলেন পঁয়ষট্টি বার।
আশমান পানে হাত তুলে ভাবছো, করে নেবে বেড়া পার!