চলো যাই।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।

চলো যাই। একটু বেড়াই।
ঐ দূর দিগন্ত কিনারে, নীল সবুজের সাগরে;
গোচরে খেলিবে শুধু বন বীথি আর বনানী
পাখির কুহুতান, বাতাসের গোঙানি, জলের কলকলানি,
গোধূলি লগনে দেখিব ধুসর মেঘের চোখ রাঙানি
ভবের মায়া-জালের পিছুটান ভুলি
শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, কলুষ রাজনীতি, অসহিষ্ণুতাকে শিকে তুলি,
প্রকৃতি আর আমি;
আমি আর আমি, আমার সঙ্গে শুধু আমি।
যেথায় শুনব কোকিলের গান, জলের কলতান;
বাতাস তুলবে সুর, বনানী ধরবে তান;
মেঘেরা খেলবে রঙ, বাতাস ছড়াবে পিচকারি;
মেঘ সাগরে বাইবে ডিঙ্গি, পাখির দল হবে সওয়ারী।
ছায়া সুনিবিড় আম্র কানন, যেথা মেঘ রোদ জল করে খেলা
রাশি রাশি জলে সাগর অতলে মাছেদের গৃহ খুঁজিব দু-বেলা
বাতাসের বাঁশিতে নাচিবে বনফুল প্রজাপতি দের লাগিবে মেলা
দেখিব নব মঞ্জরিতে বসি প্রজাপতি মৌমাছিদের পাগল করা লীলা।
চলো যাই দূর হতে দূর বহু দূর যেথা আকাশ মাটিতে হয় সঙ্গম;
ধরণীর নদ-নদী গিরি পর্বত ছাড়ি বসুধার ঐ শেষ প্রান্তে;
যেথায় বনানীর সৌরভে নীলিমা হয়ে ওঠে সবুজ;
ফিরে যাব শৈশবে। বৈশাখের আম পাড়ার মত পেড়ে নেব
নীলিমা-বক্ষ হতে নীলিমার সেরা নক্ষত্র গুলি
অম্বু-রাশিতে তাদের সোনালি অংগ ধৌত করিয়ে
আলাপে জানতে চাইব; মর্ত্ত্যের এত উৎপীড়ন শোসন ত্রাসন দেখে
তোমরা কেন মিটমিট করে হাসো?
চলোনা আমার সাথে একবার ভূলোকে;
চাক্ষুষ করিবে স্রষ্টার সাধের ধরণীর হাহাকার;
পাপীদের পাপে কাঁপিছে কেমন ধরণী থরথর;  
চলোনা তোমরা! ভূলোকের যত গ্লানি ধুয়ে
শান্তির বাণীতে পাপীদের শান্ত করে আপন রঙে রাঙিয়ে দাও;
না হয় সংহার করে ধরণীতে শান্তি ও মানবতার বীজ বুনে
পবিত্র করে ফিরে এসো। তারপর নয় হেসো!!!!!
০১/০৩/২১