আমার ছিল তিনটে ছাগল,
করতো আমায় কেমন পাগল -
সেই কথাটা বলছি সবাই শোনো,
এর মধ্যে মিথ্যে নেইকো কোনো।
একটা খেতো সবুজ ঘাস,
একটা বটের পাতা,
একটা শুধু চিবিয়ে খেতো
আমার ছড়ার খাতা।
একটা থাকতো ঘরের কোণে,
একটা কাঠের খোলে,
একটা শুতো রাতের বেলা
আমার গরম কোলে।
একটা চরতো মাঠের মধ্যে
একটা পথের ধারে -
ঘাস ভেবে চুল একটা ছাগল
ছিঁড়তো আমার ঘারে।
একটা যখন ব্যা ব্যা করে
একটা জোরে কাঁদে,
একটা সুখে আরাম করে
শুয়ে নদীর বাঁধে।
খুঁজতে গেলে একটা পালায়
একটা আসে কাছে,
একটা তখন দুপা তুলে
ড্যাঙ ড্যাঙা ড্যাঙ নাচে।
একটা ছিল গোমড়ামুখো
কামড়ে দিত গালে,
বাকি দুজন মল ফিরতো
রেগে ভাতের থালে।
ছাগল নিয়ে পাগল হয়ে
আটকে ছিলাম ফেরে -
বিদঘুটে জ্বালার চোটে
বউটা গেছে ছেড়ে।