সত্য হোক মিথ্যা হোক বলেছ আসবে
তাই রাস্তার সমতলে এঁটে আছি কালো পিচের মত
দু’ধারে সাজিয়ে রেখেছি তাবৎ মেয়ে জ্বীন
তাদের অগ্নিগর্ভ চোখ থেকে
আগুনের বদলে নির্গত হচ্ছে
গোলাপের পাপড়ি আর রজনীগন্ধার সুবাস

সত্য হোক মিথ্যা হোক বলেছ হাত বাড়াবে
তাই তোমার হাতের তালুর রেখা কল্পনা করে
এঁকেছি বিচিত্র সব মানচিত্র।
সপ্তরঙা হার দিয়ে চিত্রিত করেছি সীমানা প্রাচীর
নদী-সমুদ্র-অরন্য-জনপদ, আমার অববাহিকা
পরবর্তী পৃথিবীর আনুমানিক নকশা।

সত্য হোক মিথ্যা হোক বলেছ হাসবে
সেই প্রতীক্ষিত হাসি শুনবো তাই
ঝর্ণার উৎস মুখে দিয়েছি পাথর চাপা
বসন্ত কোকিলকে পোষ মানিয়ে করেছি নিশ্চুপ
জনকোলাহলকে করেছি
এ্যারাবিক মিথলজির মূর্তমান পাথর।
দু’কান কে করেছি সজাগ ঢের বেশী।

সত্য হোক মিথ্যা হোক বলেছ ভালবাসি
এই অনিশ্চিত আশ্বাস টুকু নিয়ে
আমি গড়ে যাবো নিরন্তর পিরামিড
যদি কখনো এই ভালোবাসা সমাধিস্থও হয়
আগামীর কোন এক সভ্য প্রজন্মে
তা হবে সপ্তাশ্চর্য, তা হবে মহাপৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য।


(২৯.১০.২০১৪, জিয়া হল, রা. বি.)