আমি এক সাধক পুরুষ
হবার চেষ্টা করছি;
বেশ ক’বছর হলো
কিন্তু মানষিকভাবে পারছি না।
প্রায় প্রতিদিনই সাধনা ভঙ্গ হচ্ছে
অনিচ্ছায় এবংকৃত্রিম সুখভোগের কারনে।
অনেকে আবার দৃশ্যমান সাধক, কিন্তু
অদৃশ্য জগতে সাধক থাকছে না
মানষিকভাবে কিংবা শারীরকভাবে।
নারীরা সাধক কিংবা সন্নাস চর্চা
করতে পারে কি না, জানি না।
মানুষের কাধে স্থায়ী আবাসরত
ফেরেশতাগন, প্রতিনিয়ত
মানুষের পাপকর্মের হিসেব লিখতে লিখতে
ক্লান্ত, পরিশ্তান্ত, কিন্তু
তবুও লিখছেন প্রতিনিয়ত
মানুষকে অস্বীকার করার সুযোগ দিতে চান না।
প্রকৃতির প্রদত্ত চাহিদা পূরণে
মানষিক, শারীরিক
দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান, বৈধ, অবৈধ
এতো বিরোধীতা কেন বুঝি না;
অজ্ঞতা আমায় ঘিরে রাখে
আমি নির্লিপ্ত থাকি, তিনি নিশ্চুপ।
প্রকৃতি বিরূপ হলে
সেটা কি অন্যায় চর্চা হয়? নাকি
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধবাজ হয়েই
সন্নাস হতে হয়?
প্রকৃতি, সন্নাসবাদ, রূঢ়, বাস্তবতা
ত্রিমুখী দন্ধ;
মানুষ যাবে কোথায় তবে?
আমি, আমরা কিংবা
কেউ কেউ
ইহকাল এবং পরকাল হারানো এতিম
আমাদের জন্য ঈশ্বরের পরামর্শ কি?
আমি জানি না, নিশ্চিত ভাবেই জানি না
মিরপু,র, ঢাকা
অক্টোবর ৯, ২০২২, সকাল ১০টা