আলোচনা ১০৯
কবি ইন্তিখাব আলম খুব অল্প কথায় গভীর এক অনুভূতির প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন তার কাব্য “ শুন্য” তে । মানুষ এক জীবনে যত ধরনের অনুভূতির মুখমুখি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অনুভুতি “শুন্যতার অনুভূতি’, অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। হতাশা, না পাওয়ার বেদনা, চারদিকে শুধু বঞ্চনা আর হাহাকার ইত্যাদি যখন চারদিক থেকে কাউকে ঘিরে ফেলে তখনই শুন্যতার অনুভুতি হয় কিংবা হয়তো তারচেয়েও বেশী কিছু, আমি হয়তো ব্যাখাই করতে পারছি না। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ‘শুন্যতার অনুভুতি’কে ঠিক ব্যাখা করা যায় না, শুন্যতার অনুভুতিকে অনুভুতি দিয়েই অনুভব করতে হয়। একেক জনের শুন্যতার অনুভুতিও এক রকম নয়, একেক রকম। কবি তার নিজের ‘শুন্যতার অনুভুতি ব্যাখা করতে চেয়েছেন কতগুলো না পাওয়ার বেদনা কিংবা হতাশা থেকেই কিন্তু শুন্যতার অনুভুতি তার চেয়েও বেশী কিছু।
কবি শুন্যতাকে দেখেছেন, কবিতা লেখার ইচ্ছে, বেকারত্ব, চাকরি খোঁজা, প্রেমিকার ইচ্ছেতে সাড়া দেয়া, নিজের উন্নতির জন্য আরও পড়াশুনা করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয়ে যখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং কোনটাই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, আবার একটির জন্য অন্যটির হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়, তখন এক ধরনের শুন্যতার অনুভুতি তৈরি হয়। চারদিকে তখন হতাশা, শুন্য আকাশ আর ধু ধু মরুভুমিতে আবছা আলোর দিশা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না।
আমার ভুল হতে পারে কিন্তু আমার মনে হয়েছে, কবিতার শিরোনাম ‘শুন্যতা’ অথচ শুন্যতা সঠিক ভাবে ফুটে উঠেনি। শিরোনাম দেখে আমি আরও একটু গভীরতা আশা করেছিলাম। কবির প্রতি বিনীত অনুরোধ কবিতাটি রিভিউ করে শিরোনাম এর জন্য আর একটু উপযোগী করে তুলতে পারেন, কবির জন্য রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।