আলোচনা ১২৫
আরবী শব্দ “লা তাহযান”, বাংলায়-হতাশ হবে না, ইংরেজীতে-Don’t be Sad
শুরুতেই হতাশা দিয়ে শুরু কবিতাটি, তবে হতাশাও বেশ কাব্যিক ভাবেই উপস্থাপন করেছেন কবি-
“রাতের স্বপ্নেরা দিনে এসে মিলিয়ে যায়,
যেমন মিলিয়ে যায় কুয়াশা”,
হতাশা প্রকাশেরও একটা কাব্য ঢং আছে। খুবই সাধারন কথা, কিন্তু আমাকে দারুনভাবে কাব্যিক এক ঢঙয়ের আবেশ বেশ কিছুক্ষন ঝিম ধরিয়ে রাখলো। শুরুটা এমন ছিল, যেখানে নানা ধরনের হতাশা উচ্চারন হতে পারতো কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে-ই ভালোবাসার, সেই বিরহের হা হা কারই ফুটে উটলো। ভালোবাসা হারানোর সেই চিরন্তর বেদনাই প্রকাশিত হলো।
যে কোন হতাশা মানুষকে নানাভাবে রূপান্তরিত করে, কাউকে নুতন করে জেগে ওঠার প্রেরনা দেয় আবার কাউকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। হতাশা মানব জীবনের এক অবশ্যম্ভাবী অংশ, প্রায় সব মানুষের জীবনেই কোন না কোন অংশে হতাশা আক্রমন করে আবার চলেও যায় কিন্তু ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে যে হতাশা তৈরী হয় তা অনেকেই সামলে দিতে পারে না, দীর্ঘদিন, কখনো বা সারাজীবন তা বয়ে বেড়াতে হয়।
এখানে কবি, ভালোবাসার হতাশাকে সামাল দিয়েছেন নিজ গুনেই যদিও তা ছাপ রেখে গেছে পুরো জীবনে, “ভালোবাসাগুলো কৈ মাছের প্রাণ, মরে গেলেও রেখে যায় কথা, উপকথা”। আবার শেষ লাইনে নিজের উপর সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন রেখেই কবি বলেন-
“ আমি রাতেও যেই, তেমনি দিনেও সেই”,
ভালোবাসার বিরহ, জীবনের নানা পরতে ছাপ রেখে গেলেও তা জীবনকে স্তব্দ করে দেয়নি আবার ভালোবাসাকেও ভুলেও যাওয়া হয়নি। অল্প কথায়, কবিতাটি আমায় খুব আকর্ষন করেছে।
কবি’র জন্য রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।