আলোচনা ৪৬
পেছনের কিছু পাতা পড়ছিলাম, সিরিয়াস কিছু কবিতা বাদ দিয়ে, মজার কিছু কবিতা নিয়ে আলোচনার ইচ্ছে হল। কবি সমীর প্রামাণিক, “নির্ভেজাল”কবিতাটি যদিও বেশ মজা করে লিখছেন কিন্তু কয়েকটি সত্য এবং বাস্তবতা উপস্থাপন করেছেন, কিছু উপমা ব্যবহার করে-
• ভেজাল কি আসলেই ভেজাল কিনা? মিথ্যেকে আসলেই মিথ্যে হিসেবে বিবেচনা করবো কিনা?
• অভ্যস্ততা কিভাবে ভেজালকে/অসত্যকে/ অন্যায়কে গ্রহণযোগ্য করে তোলে
কিছু মিথ্যে তো ভালোর জন্যও হতে পারে, মঙ্গলের জন্যও হতে পারে । দরিদ্র্য পরিবারে যে মা, সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিজে না খেয়ে থেকেও, খেয়েছি বলে মিথ্যে বলে, তা কি সত্যিই মিথ্যা বলে ধরে নিব? মিথ্যের আড়ালে যদি মঙ্গল থাকে তাহলে কি গ্রহণযোগ্য হবে? ভালবাসার সফল পরিনতির জন্য যদি মিথ্যে বলা হয়, তাহলে??
প্রতিদিনের অভ্যস্ততা, যে খাবার নিজ দেশে খেতে পারি না, অন্য দেশে গেলে তা পারি, যে নিয়ম শৃঙ্খলা নিজ দেশে মানি না, মানতে কষ্ট হয় তা অন্য দেশে যথাযথ ভাবেই মেনে চলি। শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাও তাহাই সয়। প্রতিদিন ভেজাল খাতে খেতে আমাদের শরীর তাতেই অভ্যস্ত ফলে ভেজাল খাবারেই আনন্দ, হঠাৎ কোন শুদ্ধ খাবার শরীর তা গ্রহন করে না।
মিশ্রন না হলে নাকি সোনার আলংকার বানানো যায় না, মৌমাছির চাকের মধু সরাসরি খাওয়া যায় না, সত্য কথার ভাত নেই—এতসব প্রবাদ বাস্তবতা থেকেই নেয়া। সব মিথ্যে সব সময় মিথ্যে নয়, সব সত্যিও সব সময় সত্যি নয়। কখনও সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়- সেটাকে মিথ্যে বলা যায় না আবার সত্যি বলেও মানা যায় না, প্রেম পর্বে যেমনটা ঘটে।
অনেক শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন