বিশ্লেষণ -৩৯
ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে দাবি আদায়ের প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নাই, ঐক্যবদ্ধ্য আন্দলনের কোন বিকল্প নাই, ঐক্যবদ্ধ্য শক্তির কোন বিকল্প নাই, কবীর হুমায়ূন তার কাব্য “মুক্তির দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হোক’ সে কথাই বলতে চেয়েছেন। পৃথিবীর যত মুক্তির ইতিহাস সবই ছিল ঐক্যবদ্ধ্য আন্দলনের ইতিহাস, এমনকি বাংলাদেশের ভাষা আন্দলনের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জয়ের সাফল্য সবই ছিল ঐক্যবদ্ধ্য আন্দলনের, জনতার ঐক্যবদ্ধ্য থাকার ইতিহাস। কবি তার কবিতায় দুটো বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন, ‘মুক্তি’ এবং ‘ঐক্যবদ্ধ্য”।
কবি কোন মুক্তির কথা বললেন? মানুষিক মুক্তি? অর্থনৈতিক মুক্তি? মানবতার মুক্তি? কার মুক্তির কথা বলতে চেয়েছেন কবি? মুক্তির মিছিলে কারা অংশগ্রহণ করবে? সকল পেশার মানুষ না হয় অংশগ্রহণ করতে পারবে কিন্তু সকল শ্রেণীর মানুষ পারবে? কবি শোষিত মানুষের পক্ষে কবিদের থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।
কবি কোন অঞ্চল ভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ্য আন্দলনের কথা বলেননি, বরং বলেছেন শহর বন্দর, গ্রাম গঞ্জ সর্বত্রই শোষিতের পক্ষে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেখানে সবাইকে ‘মুক্তির মিছিলে আমরা সবাই’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কবি লিখেছেন- “মুক্তির দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হোক প্রাণ, শহরে-বন্দরে গ্রামে ও গঞ্জে, শ্রমজীবী মানুষের বঞ্চনার অবসানে, রক্তাক্ত বিক্ষোভে হোক শিকল ভাঙ্গার গান! মুক্তির দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হোক মানুষের প্রাণ”
কবির প্রত্যাশা, সবার ঐক্যবদ্ধ্য আন্দলনের মাধ্যমেই শোষিতের মুক্তি অর্জন হবে, শোষিতরা একদিন পিছু হটবে, একীভূত হবে বিশ্ব, মানব মুক্তির পথ একধাপ এগিয়ে যাবে। কবি আবার লিখেছেন- ““কবিদের শব্দ,শ্রমিকের ঘাম একীভূত হোকআজ বিশ্বময়;আন্দোলন ও সংগ্রামে হবে শোষনের ক্ষয়, রক্তদানকারী শোষিতের দল, বেহিসেবী জীবনের তারা,কভু নিঃস্ব নয়; একীভূত হোক আজ শোষণ-বিপক্ষে বিশ্বময়”। কবি মুক্তির মিছিলে, মুক্তির মশালে আগুল জালিয়েছেন ““ভেঙ্গে ফেলো আজ শিকলের জের দিগন্ত থেকে দিগন্তে।আজ বশ্যতাকে অস্বীকার করো মেহনতি সব শ্রমজীবীগণ”। কবির জন্য রইল একরাশ শুভেচ্ছা।