আলোচনা ৬৩
বর্তমান সময়ের বিজ্ঞানী মহলের সব চেয়ে আলোচিত বিষয় গুলার মধ্যে অন্যতম হল ঈশ্বর কনা (GOD particle) তথা হিগস বোসন (higgs boson) কণা । সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানী মহলে তো বটেই, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ইদানিং ঈশ্বর কণা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে । বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করে তথ্য ও তাত্ত্বিক ভিত্তি আলোচনা দিয়ে। নানা ধর্মের মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করে, বিশ্বাস এবং নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ এর মাধ্যমে আর সাধারণ মানুষ কেবল বিশ্বাসের জোরেই ঈশ্বরের কাছে মাথা নত করে।
আলোচ্য কবিতাটি একজন মানবতাবাদী কবির চোখ ‘ঈশ্বরের অস্তিত্বের খোঁজ করেছেন’, নিতান্তই এক সাধারণ (কিন্ত কবির চোখে অসাধারণ) ঘটনার মধ্য দিয়ে। নানা ধর্মের মানুষ ঈশ্বরকে খোঁজে নানা ভাবে, নানা আনুষ্ঠানিকতায়, নানা ঢঙে কিন্তু ঈশ্বরের অবস্থান মানুষের কর্মে, মানুষের ভাবনায়, মানুষের অন্তর দৃষ্টিতে। মানুষের মাঝেই ঈশ্বরের বসবাস, কেবল কেউ খুঁজে নিতে পারে কেউ পারে না। আকাশ সীমায় তাকিয়ে কিংবা দু হাত তুলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলে নিরন্তর কিন্তু কবি বলতে চেয়েছেন, মুলত কর্মের মধ্যেই প্রতিনিয়ত ঈশ্বরের দেখা মেলে। মানুষের হৃদয়ে ঈশ্বরের বসবাস।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা, দরিদ্রতার সপ্তমসীমা অতিক্রম করে শিশুটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নিজের জন্য আনা ঝাল মুড়ির ঠোঙ্গাটি...... মহান ঈশ্বরের দেখা মেলে এখানে। আমাদের প্রতিনিয়তই ঈশ্বরের সাথে দেখা করার সুযোগ থাকে কিন্তু মানুষ নামের অমানুষ আমরা কুকুর বেড়ালের ন্যায় হামলে পরি খাদ্যের/সম্পদের দেখা পেলে, তাই কবি লিখেছেন – শত ঈশ্বর জন্ম নেয় ক্ষণিকের জন্য,আবার হারিয়ে যায় সময়ের গহ্বরে!
আমার বিবেচনায়, অসাধারণ এক কাব্য রচনা করেছেন কবি মিলেটস, অভিবাদন কবি।