আলোচনা ২২৭
সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগ নিয়ে মানষের ভোগান্তির একটি খন্ডচিত্র নিয়ে “আইন পেশা” লিখেছেন এম মাহবুব মুকুল। বিষয়টি নিয়ে আর নুতন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না, আমরা সবাই কম বেশি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আইন এবং বিচার সংশ্লিষ্ঠ ব্যাপারে ভুক্তভোগী। আইন পেশাকে “আইন ব্যবসা” কেন বলা হয় তা জানি না। একবার ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু যৌক্তিক কোন উত্তর পাইনি (আমি যখন আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেছিলাম, পরে আর প্র্যাক্টিস করিনি)। আইন পেশা যদি ব্যবসাই হয় তবে আর নৈতিকতা, মানবিকতা থাকে কোথায়? ব্যবসার মূল কথা একটাই “প্রফিট ম্যাকিং”।
আমরা প্রায়শই দেখি, আইন বিভাগ রাজনৈতিক পেশীশক্তির কাছে আত্মসমর্পন করে, প্রকাশ্যেই বলা হয়ে থাকে, এগুলো সব রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা, এতে করে আদালত অবমাননা হয় না কেন বুঝতে পারি না। আইন এবং আদলত বা বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা বা লিখা ও মুসকিল, কখন কোনটা আবার আদালত অবমাননা হয়ে যাবে, বলা যায় না।
এখানে আবার সেই একই প্রশ্ন এসে যায়, কবি বা কবিতা আলোচক কি আইন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু লিখতে পারে প্রকাশ্যে, এখানে কি পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। আমরা প্রায়শই শুনে থাকি, এটা করা যাচ্ছে না, ওটা করা যাচ্ছে না... কারনে আইনের সীমাবদ্ধতা বা আইনের ফাকফোকর দিয়ে অপরাধী বেরিয়ে যায়। কিন্তু সেটা যদি সত্য হয়, তবে আইনের পরিবর্তন বা আইনের সংশোধন করতে কে নিষেধ করেছে? বাধা কোথায়? আইন সংশোধন না করে বছরে পর বছরে, প্রশাসনিক এমনকি রেগুলেটরী সংস্থাগুলো আইনের সীমাবদ্ধতার কথা প্রকাশ্যে বলে যাচ্ছে।
আইন, আইনের প্রয়োগ, সঠিক বিচার, ন্যায় বিচার, পেশিশক্তি, রাজনৈতিক শক্তি, বিচারহীনতার রাজনীতি, মানুষের ভোগান্তী, মানুষের হয়রানী ইত্যাদি বিষয়গুলো যেন একে অপরের সাথে সিমেন্টিক আকার ধারন করেছে। এর থেকে মুক্তির যেন কোন উপায় নেই। এটা কি সার্বজনীন বাস্তবতা নাকি কোন কোন দেশের জন্য প্রযোজ্য? আলোচ্য কবিতার মূল ম্যাসেজ আসলে এগুলোই।
কবির জন্য রইলো শুভেচ্ছা।