আলোচনা ১১৫
বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষগুলোর যন্ত্রণা অনেক বেশী থাকে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় চারদিকে যখন অন্যায় অত্যাচার চলছে, রাষ্ট্রীয় এবং সমাজ পতিদের উৎসাহে অত্যাচারির সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলছে তখন নুন্যতম বিবেকবোধ নিয়ে চলা দুস্কর হয়ে পড়েছে। বিবেকের তাড়নায় সহ্য করা করা যাচ্ছে না আবার অক্ষমতার বেড়াজালে থেকে প্রতিকারও করা যাচ্ছে না। সমাজে ভাল মানুষগুলো দ্বিমুখী এক চাপের মধ্য্ দিয়ে দিন যাপন করে ফলে জীবনের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা জন্মে এবং সব কিছুই তখন বিস্বাদ লাগে। ঠিক এরকম এক অনুভূতি নিয়েই “বয়ে বেড়াই এক আশ্চর্য বিষাদ” কাব্য উপাহার দিলেন কবি শেলি।
এরকম এক বিষাদ সময়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য, জীবনের সৌন্দর্য, বেঁচে থাকার আনন্দ...কোন কিছুই ভাল লাগে না। চাঁদের স্নিগ্ধতা, নদীর কলকল ধ্বনি, রাতের তারার মিটিমিটি আলোও তিক্ত লাগে। কেউ কেউ অস্বাভাবিক কোন মৃত্যুকে মেনে নিতে পারে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে আবার কেউ কেউ সব কিছুই স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়, নিজেকে মানিয়ে নেয়, শত অন্যায়ের কাছেও মাথা নত করে, নিজেকে বিলিয়ে দেয়, সবাই তা পারে না। পারে না বলেই তারা বিষাদে ভোগে, একাকীত্বে থাকে, নিজেকে রিক্ত, শুন্য মনে করে। অদৃশ্য এক জালে নিজেকে বন্দী মনে করে ফলে আরও বেশী বিষাদে জড়িয়ে পরে।
কবি শেলি তার কবিতার প্রতি লাইনে লাইনে, প্রতি ছত্রে সেই বিষাদ সময়েরই চিত্রায়ন করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। কবির জন্য রইল অফুরান শুভেচ্ছা। আর ভাল ভাল কবিতা উপহার পাবার প্রত্যাশা রইলো ।