একদিন এলোমেলো হয়ে গেল সব
সর্বগ্রাসী ঝড়ে;
চোখের সামনে ভেসে গেলো
কল্পিত স্বপ্নের রূপরেখা
সম্ভাব্য যাত্রাপথের নিশানা।

ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলাম
আমি আর গাছ;
সময়ের তান্ডব, মুহুর্তেই ধূলিসাৎ করে দিলো সব
শুন্যে মিশে গেল
স্মৃতিজড়িত কথা গুলো।

বিষাদগুলো অজান্তেই
জায়গা করে নিলো
মনের গহীন কোণে;
গুছিয়ে নেয়ার খেলায় হয়তো নিজেকে
বাহবা দিবো নিজেই।

মানুষ চাইলেই সব পারে;
নিজের প্রাপ্তি খুজে নিতে পারে,
কেউ দু:সময়ে অন্যকে ব্যবহার করে, কেউবা ভিন্নভাবে।
আমিও হয়তো পারবো আমার মতো করে
নিজের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে।

হয়তো, মাঝে মাঝেই মধ্যরাতে
ধড়ফড়িয়ে জেগে উঠবো, কিংবা
বিষন্ন বিকেলে;
একা একাই হেটে যাবো স্মৃতির ভুবনে
অথবা, কল্পিত স্পর্শগ্রামে।

কেটে যাবে অনেকদিন, অনেক বছর
অদেখা ভুবনে;
গোছানো বাহিরের বারান্দায়
হয়তো থাকবো বসে স্মৃতির সাথে জড়িয়ে;
কথা হবে এলোমেলো ভেতরের পড়শীর সাথে।

যে ঝড় স্পর্শ করেনি মৃত্যুকে
অথচ, লুকিয়েছিল নিজের ভেতরে;
যার দিকে আমি আর তাকাইনি সচেতনভাবে
অথচ, রয়ে গেছে আমার অবচেতনে
জাবরকাটা জীবনের সচেতন আচরণে ।

আমি যার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছি প্রতিদিন
গায়ের জোরে
মনের বিরুদ্ধে
মিথ্যে অভিনয়ে, দীর্ঘ শ্বাসের আড়ালে
অথচ, সে অস্তিত্ত্ব সত্য।

সে তো সত্য,
কারো কাছে হয়তো পুরো বিষয়টিই
ভীষন অপ্রিয় সত্য কিংবা মিথ্যে

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ রাত ১২টা
মিরপুর, ঢাকা