কল্পনার স্রোতে ভাসি একা
শব্দের তালুতে গড়ে তুলেছি
নীরবতা

বিমূর্ত নকশায় আঁকা এ জীবন
ফিরে আসি মাঝে মাঝে,
কখনও খুঁজি, কখনও হারায়

এই বিমূর্ততার মাঝে
নিজেকে খুঁজে পাই
একাকীত্বের সুরে গেয়ে যাই

ভাঙা কাঁচের টুকরো
মন আমার,
যেখানে নেই আশ্রয়, নেই কোনো দরজা

বিমূর্ত একাকীত্ব—এ এক মায়ার খেলা



বিমূর্ত ভাবনা
একটি নীরব গল্প,
যা বলে না কিছু, তবুও আছে গভীর উপলব্ধি

মেঘের কাছে গিয়ে
খুঁজে ফিরি বর্ষা
আমি এক বিমূর্ত রূপ, প্রকৃতির আবেশে আবৃত হয়ে থাকি

এভাবে আমি থাকি
বিমূর্ত চিন্তায় স্নিগ্ধ
কখনো সুখ, কখনো দুঃখ, সবকিছুতেই রহস্য



নীরবতা যেন একটি মন্ত্র
মিষ্টি সুরে বেজে চলে
নেই কোন কথার কম্পন

নীরবতা যেন এক বিমূর্ত ভাবনা
শুধু অনুভূতির গহনে
লুকিয়ে থাকে কল্পনার দিগন্ত

নীরবতা যেন একটি স্পর্শের অনুকম্পা
বিমূর্ততায় মিশে থাকে,
কখনো ধ্বনিত হয়, কখনো থেমে

নীরবতার গভীরে একটি গল্প
শব্দেরা যেন হারিয়ে যায়



এখানে নেই কোনও অভিযোগ,
শুধু আমি আর আমার ভাবনা

নীরবতায় গহীনে থাকে
শব্দের ঢেউ, যেখানে হারিয়ে যায়,
সব কথার কোলাহল, সব তীব্রতা

এখানে নেই কোনো বিশৃঙ্খলা
শুধু একলা বসে ভাবনা আসে
নিঃশ্বাসের ছন্দে চলে অন্তর্লোকের সুর



হৃদয়ে নিত্যসঙ্গী
আমার অজানা ইচ্ছা,
যা দেখি, তা নয়, অথচ তাতে রয়েছে মিশ্রণ

বিকেলের নিস্তব্ধতা
বাড়িয়ে দেয় দার্শনিকতা,
যেখানে আমি খুঁজি, অস্তিত্বের সত্যতা

দেখি জলরাশি বয়ে যায়,
বিমূর্ত সেই মূহুর্তে
যেন নতুন কিছু শিখায়

অক্টোবর ১৯, ২০২৪, সকাল ৭টা
মিরপুর, ঢাকা