চেনা শহরে অচেনা নাগরিক


একদিন ফিরে এসে দেখে ফেলি
দৃশ্যের ভেতর অন্য দৃশ্য
বিষন্নতা ভর করে
লুন্ঠিত নগরে সব লুট হয়ে যায়

একদিন হঠাৎ চমকে দেখি
বইয়ের চেনা পৃষ্ঠাগুলো নাই হয়ে গেছে
গল্পটা পরিবর্তন হয়েছে অনেক আগেই
চরিত্রগুলোও পাল্টে দিয়েছে; লেখক নিজেই


কৃষকের মাঠ থেকে
পেকে ওঠা হলুদ ধান লুট করেছে এক দস্যু
হৃদজ্ঞানে কৃষকের চোখে ভাসে
ঠোঁটলাজুকতার মূর্তি

অংকের খাতায়
যোগ বিয়োগ গুন ভাগ তোলা রইলো
পৃথিবীর নিঃশ্বাসের সাথে
একদিন তামাদি হবে যাবে সব


আমার জন্মগত অভ্যাসের
দায়ভার,
শুধুই আমার
জল পিপাসায় গলা শুকিয়ে যায়, অথচ নীরব থাকি

মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে
ফিরে গেলো
সে দায়ভারও আমার উপর রইল
চেনা শহরে আমি এখন, অচেনা নাগরিক


নির্বোধ পিপাসার গাঁয়ে
একটি মাত্র শ্লোগান লেখা থাকে
নীরব নিথর শান্তি;
বৃদ্ধ ঈশ্বর শ্লোগানটি পছন্দ করেন ভীষন

জলের গান শুনি
মধ্যরাত অবধি
দূর থেকে আরো দূরে, আরো গভীরে
ভেসে আসে অচেনা সুর

সে কি কান্নার
নাকি, উল্লাসের?


লোকটি জলে নৌকা ভাসালো
যাত্রি ভাবলো
বৈঠাহীন নৌকা আর যাবে কতোদূর!!!

পাল তোলা নৌকা
স্রোতের অনুকুলেই ভাসলো

নৌকার মাঝি
এবং যাত্রি
দুজনের ভাবনাতেই ঘাটতি

জুন ৩, ২০২৪, ভোর ৬টা
মৌলভীবাজার

#টুকরো_ভাবনা_প্রতিদিন