রয়ে থাক পরে বাকি সব অজানা,
ব্যস এইটুকু জানি সোনা,
প্রেমাতুর এই আপনপন-
প্রকৃতি আর নদীর ধারার কাছাকাছির মতন ।
তুমি যেন প্রকৃতি, সুন্দর অপরূপ মহিমাময়,
আমি যেন নদীর জল, বয়ে যাই তোমার কোলে চঞ্চল প্রানোময়।
শত শতাব্দীর প্রেমহীন ঠান্ডায় সেই জল বরফ় হয়ে ছিলো;
জানিনা কখন তোমার উষ্ণ রোদের ছোয়ায় বরফ় গলে জান ফিরে পেলো,
তোমার চুলের মতো ঘন মেঘের বৃষ্টিতে নদী হয়ে
বয়ে গেলাম ছল্ছল তোমার পাহাড়ের বুকে, জন্নতের সুখে,
গিরিখাতে সুন্দর পাথরের গায়ে গায়ে;
কী সেই উদ্দিপনা জীবন-প্রবাহ হৃদয় স্পন্দনে!
যেন নুপুরের ধ্বনি বাজে কোনো চন্চলা হরিনীর পায় পায়,
জড়িয়ে আছি রন্ধ্রে রন্ধ্রে - এ কোন বন্ধনে ?
বয়ে যায় নদী, আরো গভিরে আরো নিবীড়ে, সমতল দেশে-
বাহিরের কোলাহল থামে, মনের বাড়ে,
মন জমে ধীরে ধীরে নরম মাটির আবেশে ,
বয়ে চলে জল-ধারা , অনুভবে বুক ভরা
মিশবো মোহনায় মিলন সঙগমে,
তোমার সাগরে আমার স্রোত-ধারা ।
সমুদ্রের জল বাস্প হবো , তোমার সঙগতাপে,
মেঘ হয়ে উড়ে রবো, আকাশে কেপে কেপে ।
তোমার অনুরাগে বৃষ্টি হবো- আসবো ঝেপে-ঝেপে
তোমার ছোঁয়ায় জল-ধারা হবো, বয়ে যাবো উদ্দাপে ।
কখনো প্রেম-হীনতার অন্ধকারে বরফ় হোয়ে থাকা,
কখনো তোমার বেদনাতুর চোখের জল,
রাতের শিশিরের মতো একা ।
তুমি প্রেমিকা, তুমি প্রকৃতি, তোমার সাজানো এই মন-মোহিনী মেলা
আমি আজো সেই জল-কনা , বয়ে চলা আনমনা -
তোমার ছোঁয়ায় লাগিয়ে জীবন-দোলা
কখনো প্রান-হীন বরফ় , কখনো কোলাহল স্রোত
যদিও বদলায় জলের রূপ, বরফ় থেকে বাস্প-কনা
মন জেনো সাদা জলের মতই শাস্বত , সে বদলায় না ।