সেদিন দুটি প্রাণী বসে ছিল অন্যমনে
চাঁদনী রাতে,ঝিলের ঘাটে, ভাঙা কালভার্টের কোণে;
আঁধো কথা অস্ফুটে, আঁধো হারায় ঠোঁটে ,
এই নিয়ে পরের দিন খুব স্ক্যান্ডাল রটে -
মেয়ে চরিত্র হারিয়েছে , ছেলে ঘাঁ মেরেছে বাপের আশায়,
জড়িয়ে পড়েছে ওরা সর্বনেশে - একোন জৈবিক নেশায় !
কিন্তু সেদিনের চাঁদ , চুপি চুপি শুনেছিলো ওদের কথা -
শুনেছিলো এ পৃথিবীতে বাঁচার নির্মম ব্যথা !
ছেলেটি প্রশ্ন করেছিল মেয়েটিকে -
"বলতে পারো - বাঁচার অধিকার না নিয়ে কেন এই বাঁচা ?
লাভের খাতায় লোকসান ! বাবার কারখানায় লক-আপ,
বিষন্ন বিড়ির ধোঁয়ায় জ্বলে বাবার দগদগে বুকের খাঁচা ।
অবিবাহিত দিদি আজ বাবার বুকের বোঝা,
বৃথা হলো তার চোখে স্বপ্নে দেখা রাজা ।
এক শিশু জন্ম নিল বস্তিতে অনাদরে
মঙ্গল দীপ থামে না, নবাগতের নামে ,
মানুষের ভিড়ে কেন
মূল্য বেচা-কেনা হয়, বাজারের দামে ?
এমনি ভাবে যদি স্নেহ, মায়া, মমতা
মুখ থুবড়ে পাথরে হাঁপায় আপনপনের ব্যকুলতা ,
বাবা কেন ফেরে সন্তানের রুটির খোঁজে ?
মা কেন জন্ম দেয় ? কোন মাতৃত্বের দায়ে ?"
সমব্যথিত সাথ,মেয়েটির হাত, রাখে ছেলেটির কাঁধে,
অসহায়ের আশ্রয় - স্নেহার্ত নারীর হৃদয়, তারে বুকে বাঁধে;
নীরব ব্যথা , বৃথা কথা, উঠলো না মুখ ফুটে,
যায় হোক, এই নিয়ে পরের দিন খুব স্ক্যান্ডাল রটে ।