কত কথা হলো,
কত কথা রয়ে গেলো,
দীর্ঘ ১৭ বছরের শেষে দিন সন্ধ্যা হয়ে এলো
কথা বলবো বলে - কথা শুনবো বলে -
যখন পেলাম তোমায় , সময় ফুরিয়ে এলো, দুটিপথ আরও দূরে নিয়ে গেলো ।
সূর্য্য ডোবার বেলায় কমে এলো জীবনের তাপ ,
একি সোনা কোনো আশীর্বাদ না বাঁচার অভিশাপ ।
জানি তুমি বলবে, "বোলো না এমন সোনা ,
১৭ বছরের কত দীর্ঘশ্বাস হয়নি এখনো গোনা
জাগিয়ো না আমায়, শুধু হতে দাও, কথার ছলে আর বেঁধো না ।"
একদিন এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা দেখে যখন ফেরি করে ফেরে -
আজন্ম একাকিনী এক বন্দিনী , পাষান পাথরের বন্ধ দ্বারে ।
ঝোলাভরে সব স্বপ্ন বেঁচে তার চাবিটি কুড়িয়ে পায় ,
চমকে দেখে - শত নিখোঁজ স্বপ্ন সেথায় অজ্ঞাতে হারায় ।
বললাম , "এসেছো ক্লান্ত পথিক , বসো মোর ঘরে "
বলেছিলে "বসতে আসিনি , যেতে হবে বহু দূরে ,
এই নাও নীল পরীর ডানা, ফেলে এসেছিলে সেই নীল নদীর পাড়ে ।"
সেদিন দ্বার খুলে দেখি আমার ঘর ভেঙে গেলো
সাজানো ইটপাথরে একি স্বপ্ন অগোছালো !
কুড়িয়ে ভরি আমি , খালি করো তুমি ,
একি নির্মম সুন্দর খেলা আমায় নিয়ে খেলো ?
সুন্দর তুমি আজও ভোরের মতোই হও ,
জানতে চেয়ো না এমন কেন তুমি ,
শুধু জানো তুমি আমার , আমারি হয়ে রও ।
জাগাবো না তোমায় দিনের আলোয় , একটু ঘুমিয়ে নাও ।
তোমার ভোরের চোখের পাতায়
আমার রাতের নির্লজ্জ স্বপ্ন মুচকি হেসে যায় ,
তারা আজও আয়নার কানে কী যে বলে -
শরীরে আমার কোন জীবন কণা স্বর্গ -দোলা দেয়
পাশে বসি , কাঁদি -হাসি , আমি ভেসে যাই -
শাশ্বত আবিষ্ট হাওয়ায় - বুকের আঁচল লুটায়
আয়না শোনে সেকথা - লাজে মরে যায় ।
সারা রাত এমনি চলে শত অসমাপ্ত আলাপ
একি সোনা কোনো আশীর্বাদ না বাঁচার অভিশাপ ,
তুমি তো সব বোঝো সোনা , সব জানো সোনা ,
তবু চুপ কেন ? আমায় বোলো না ।