শতাব্দাধিক পূর্বে বৈশাখের তপ্ত নিদাঘে
আবির্ভূত হইয়াছিলেন এক নবদিবাকার।
নিশ্চিদ্র তমসার মাঝে জ্যোতির্ময় তিনি,
ছিলেন অভূতপূর্ব প্রতিভার অমেয় সম্ভার।।
হে ভানুসিংহ, হে সারদানন্দন!
মেদিনী বক্ষে আপনার কালোচিত প্রাদুর্ভাব
আনিয়াছিল রিক্ত বসুন্ধরার বুকে প্রাণের স্পন্দন।
কে আপনি বন্ধনহারা!
জীবন সুধায় সিঞ্চিত তব কাব্য-গীত-সুরের
নব রুপ-রস-গন্ধে দশদিক হইয়াছে মাতোয়ারা।
সংসারের সমস্ত প্রেম, সমগ্র সুখ, সকল উচ্ছাস
অথবা আছে যা কিছু দুঃখ-বেদনায় ভরা
আপনার লেখনী মাঝে হয়েছে বাঙময়,
হয়তো তা গল্প কখনও প্রবন্ধ কিংবা কোনো ছড়া।
জীবনে জীবন যোগে লিখেছেন মরমের ভাষা
ভুবনের বরমাল্যখানি সাজিয়েছেন দিনা জননী-কণ্ঠে
আজি পূণ্যক্ষণে যে সুর-নির্ঝরিণী পশিতেছে কানে,
আপনারে বন্দনা করি সেই ছন্দে গানে।
যখন বাইরে কালবৈশাখী ভেতরে তখন তুষারঝড়
দুহাত বাড়িয়েও স্পর্শ না মেলে, যোজন তফাতে বন্ধুবর
ডাক শুনে কেউ নাইবা আসুক, আছেন তো ঠাকুর রবি
দহন দিবসে স্নিগ্ধতার ছায়া স্বয়ং বিশ্বকবি।