আজ যদি বসন্ত আসে
ঘুমন্ত কোনো কৃষ্ণচূড়ার কোলে,
আমিও তবে রামধনু আঁকবো
মায়াভরা তোমার ওই গালে।
আজ যদি মেঘ জমে
বসন্তের এই স্তব্ধ বিকেলে,
আমিও তবে রাঙাবো নিজেকে
তোমার চোখের ওই গভীর কাজলে।
সেই বিকেলের পর সন্ধ্যা যখন নামে
গোটা শহর মাতে নিয়ন আলোর সাজে
আগুনরাঙ্গা পলাশ কিংবা চাঁপার ডালে ডালে
ভৈরবী রাগে কেবল তোমারই সুর বাজে।
তুমি, আমি আর নাম না জানা কিছু ফুলের দল
রোদহীন আকাশে জমেছে প্রণয়ের সুপ্ত বাদল
হলুদ শাড়িতে লালপাড় আর হাঁসির ক্ষেপণাস্ত্রে
আবারো বিদ্ধস্ত আমি, ভাসছি বসন্তের মাতাল বাতাসে।
আমার বাস্তবতার বদ্ধঘরে বাড়ছে আঁধার চক্রহারে
সীমান্তের ওই আকাশ বেয়ে শেষ আশাটা যায়রে ভেসে
জড়িয়ে আপন কণ্ঠহারে বাঁধতে আমি চাইগো তারে
রাখবো সদা রানীর বেশে সাজানো এক স্বপ্নের দেশে।
ফাগুনের এই সুরের খেলায়
স্বপ্ন-মহল যাচ্ছে ক্ষয়ে,
স্মৃতির সব ধূসর অধ্যায়
দখিনা বাতাস আনছে বয়ে।
স্বপ্নের সেই অধ্যায়ের সুন্দর একটা দিন
শান্ত দুপুরে শান্তিনিকেতন, অরণ্য গহীন
বাউল গানের যাদু সাথে বট-অশ্বত্থ-ঝাউ
কবিতা লিখে শোনাবো তোমায়, শুনতে যদি চাও।
তবে কবিতা আমি লিখিনি কখনও
বরং কবিতাই জড়িয়েছে আমায়
অনাদি অনন্ত মায়ার বেড়াজালে,
ডুবিয়েছে আদিম রিপুর আবিলতায়।