দুপুরে আরামের মাছ-ভাত খেতে খেতে,
খবরটি পেয়ে মেজাজ গেল তেতে।
কারা যেন আসছে আজ ট্রেনে-
হাজারে হাজারে, কাতারে কাতারে।
শ্রমিক রা ফিরছে যে বাড়ি, কি আপদ!
আমি তো সকাল বেলায় যায় যে মন্দিরে-
যায় মসজিদে।
সকলের মঙ্গল কামনাই ডাকি পরমেশ্বরে
তাতে দেখছি পড়লো এবার যবনিকা,
কেননা রাস্তায় ওই যে,
ওই যে শ্রমিকদের দেখে খুব চিন্তা।
আবার বেলা হলেই বেরিয়ে পড়ি,
বাজারের থলি নিয়ে।
বাড়িতে ছেলের জন্য মাংস রান্না যে হবে কষিয়ে।
দেখছি তাতেও পড়লো বাঁধা,
ওরা ভয় কে দিলো যে নাড়িয়ে।
সন্ধ্যেই হটাৎ গিন্নির ফরমাইশ ,
করবে সে সিঙ্গারা, চাইনিজ আর মোগলাই,
দিতে হবে সাথ, যেতে হবে দোকান
(কে বোঝাবে তাকে) ওই ওদের জন্য,
'করোনার' ভয় সদায়।
রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে আওড়িয়ে গুরু মন্ত্র ,
বললাম ঠাকুর কে, সকল কে রেখো ভালো,
কিন্তু ওদের যেন না দেখি যত্র তত্ৰ।