নীল খামের চিঠি হারিয়ে গেছে
ঠিকানা না রেখে দুকলামের দাগে।
চিলে কৌঠার লতা বাহারি
কিনবা আমার বারান্ধার চড়ুই
মৌনতায় ঘর বাধার স্বপ্নে বিভোর।
আমি রোজ তাদের কথা শুনি
তাদের হাসির শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গে
সপ্তদশী রাতে যখন বাতাসে দোলে সব
ডোরবেলের শব্দে আমি চমকে উঠি।
ওইতো,
যে বছর অর্নিতা আমায় বলেছিলো,
সে স্বর্গে যাবে নাকি নরকে!
সে বছর খুব ঝড় বয়েছিলো।
সেদিন রাতে খুব জ্বরে
সে আমার কপালে হাত রেখেছিলো
মিন মিন করে কিছু বলতেই আমি ঘুমিয়ে
অথছ সেও সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলো নিঃশব্দে।
খুব সকালে,
তার টুনটুনির ডাক খুব প্রিয় ছিলো
সেই লতা বাহারি নিজ হাতে লাগিয়েছে।
একদিন বারান্দায় চা হাতে,
চোখে অশ্রু নিয়ে বলেছিলো
ওরা কবে ঘর বাধবে জানিনে আমি,
আমি ও তো থাকবোনা তোমার কোল জুড়ে
তবু আমায় চিঠি লিখো রোজ নীল খামে।
আমি রোজ চিঠি লিখি,
ঠিকানা বিহীন নীল খামে।
অর্নিতা,
আমি তো কথা রাখি রোজ
তুমি কি রেখেছো সব কথা?
ইশ, আমার ও যে জানতে ইচ্ছে করে
তুমি আমার জন্যে কোথায় অপেক্ষায়
স্বর্গে নাকি নরকে।
ভালো থেকো অর্নিতা
ঠিকানা বিহীন যোজন দূরত্বে।