কোন যোগ সূত্র ছাড়াই
এক বসন্তে আমাদের কথা হয়।
বাতাসের মিষ্টি শীত নিয়ে নদীর পাড় হয়ে
সাদা কাশফুলের শুভ্রতা হেসে ছিলো বিস্ময়ে।

গান হয়ে যে পদ্ম কথা বলেছে
আমাদের নিয়ে যাবে বলে ওই যে,
নীল আকাশ ঘেরা সবুজ দ্বীপের কোলে
ঘাস হয়ে জন্ম নেয়া তিন পাতার দূর্বা ঘাস
সময়ের স্রোত হয়ে মিশেছে কেউ পানিতে
কিংবা কেউ পায়ের নিচে হলদে হয়ে মাটিতে।

ওই যে আমরা নাম দিয়েছি এক বুড়োর
তুমি হেসেছিলে, নাম শুনে বলেছিলে ওমা
এমন নামও কি হয়? তুমি না আসলেই খুব......
সেই বুড়ো তোমার আমার নাম রেখেছিলেন
হয়তো খুব ভালোবেসে বলেছিলেন,
আমাদের দুজনার চোখ হাসে, পাশাপাশি খিলখিল।

অথচ,
ইদানীং সময়ের বড্ড অসুখ করেছে।
কত ইচ্ছে ছিলো ঢেউ হয়ে সাগর দেখবো
বালি চরে পদচিহ্ন আঁকবো পাশাপাশি
সাদা গাং চিলের স্বপ্ন হয়ে ব্যস্ততাকে ছুটি দিব
বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সভ্যতাকে বলে দিব ভালোবাসি।

তাইতো অহেতুক মনের গলিতে নীল, লাল, সাদা
কত রঙের ভালোবাসা ঢুকে পড়ে খুব গোপনে
নীল জোনাকির ডানায় উড়ে আসে হলদে খাম
ইনবক্স খালি পড়ে থাকে নিত্যদিন আমাদের অবহেলায়।

মিথ্যের দালান গড়ে নিয়েছে যে সভ্যতা
তা গিলে খেয়ে নিয়েছে আমাদের মৃত ইচ্ছে
গিরি খাদ হয়ে যে নদী নামিয়েছে ঝর্না মালা
সেখানে দুটো শরীর মাঝে এঁকেছে বিচ্ছেদ
কত শত সহস্রাব্দের পৌরাণিক ব্যবচ্ছেদ যেন
করে দিয়েছে মিরর গ্লাসে আঁকা ছবি খানা ঝাপসা।

আমি নিয়তির কাছে আজ সকালে প্রার্থনা করেছি
রোজ যেমন করে থাকি রাতের কাছে হাটু গেড়ে
চলন বিলের পাখি হয়ে ফিরে আসুক একখণ্ড মেঘ
আমায় ভিজিয়ে দিক এই সফেদ সমুদ্রের তীরে
কিংবা ফিরে আসুক তুমি নামের আমার কবিতা
যেখানে আমি আবার নতুন করে লিখে যাব আমার
অব্যক্ত কথার মালা দুটো চোখে হাসি রেখে নিয়তি ভুলে।

অনুরাধা,
জানি আসা হবেনা ব্যস্ততার সুখ ছেড়ে
তবু যদি ছুটি মিলে একদিন বসন্তের আহ্বানে
আমায় নাহয় ধার দিয়ে বিদায় জানিয়ো সেদিন,
যোজন দূরত্বের এই দীর্ঘ পথের ছায়া হয়ে বেঁচে থাকায়।
ভালো থেকো অনুরাধা।