যে সকালে তুমি
রুদ্র দেখেছিলে
সেই সকালে রুদ্র
দেখেছিল আকাশ সমান পাহাড়
এই ধরো, নীল গিরি কিংবা হিমালয়।

একটা আধ বোজা চোখের আয়তে
সে কুয়াশা পেয়েছে,
সমুদ্র পেয়েছে,
পেয়েছে বিস্তীর্ণ ধান ক্ষেত।

অথচ,
তোমার সুধা সে পান করেনি
মহা কাল ধরে নীলাচল
কিংবা ধরো হিমালয়
কেউ হয়নি বিলীন এই তেজস্বী উত্তাপে।

রোজ ভোর হয়,
পাখি ডাকে,
সবুজ ঘাসে রোদ পড়ে মিষ্টি করে
চাদর গায়ে শীত আসে আর যায়
গভীরতা বেড়ে ও কমে যায় রাত্রির
অথচ চাইলেই তুমি আমার হতে
চাইলেই রক্তিম সূর্যটা ও আমায় দিতে পারতে
মুঠো ভরে তোমার স্নিগ্ধ হাসির উচ্ছলতায়।

অথচ কথার হাতে হাত ধরে
শীতের চাদরে ইচ্ছে গুলো ছিলো শুভ্র
আমার উচ্ছলতা তোমার ভীষণ প্রিয় ছিলো
যদিও তুমি কিছুটা লাজুক।
আমার নীরবতায় তোমার ভয় ছিলো
ভয় ছিলো চৌরাস্তা পেরিয়ে আমার অফিস যাওয়া
রাত্রিরে কান পেতে থাকতে ও পাশে, যদি ভয় পাই।

আজ, ধুলোর আস্তরণে সৃত্বি গুলো
আবছা হয়েছে, দুর্বল হয়েছে গত কয়েক বছরে
তোমার ও প্রয়োজন হয়নি
আমি নামের বিষাদ গিলে মাতাল হওয়ার
এই শহুরে সংসারে একটা অর্ধ লাশের খোঁজ রাখার।
তাইতো বলি,
কবিতারা বিপন্ন হলেও মনে পড়ে
অথচ আমার মনের চরাঞ্চলে যে শুষ্ক জমি
সেখানে তুমি নামের একটা বিষ বৃক্ষ জন্মেছিলো
ধারণ করেও বুকে শুধু বিষ বিষাদ পেলাম
তোমায় পাইনি, মনে থাকার অধিকার ও পাইনি।

তাই বলি,
ফিরে আসার ও মানে নেই,
কারনে অকারণের ডুব সাতারে,
অন্ধকারে হাঁটার ও কোন মানে নেই
মানে নেই অস্তিত্বহীন কোন মহি মার পূজোয়।

আমার ও কোন ইচ্ছে নেই
শেষ কোন বিদায় ও নেই এই অসময়ে
পরাধীনতার বুকে এত স্বধীনতা
কেউ যদি দিতে পারে, তবে বিষম বিদায় বিষাদের।

প্রাণ হীন লাশের যে শব দেহ
তাতে প্রেমিকার কেমন ভালোবাসা লেপটে
তা এতদিনে বুঝতে শিখেছে বিলুণ্ঠিত মন
তাই বলছি আমার এই না ফেরাই হোক বারণ।

বিদায়হীন বিষাদ নয়
আপনার উল্লাস আবার ফিরুক
হুম, লাল শাড়ির আচলে অনেক গোলাপে
শুধু ঘৃণ্য আমি হীন, কোন সুপ্ত সুখ ইচ্ছায়।

""'বিদায়,
তোমারই তোমাকে
নিজেকেও মুছে দিয়েছি সেদিন দুহাত ভরে ইচ্ছে মত। এত টুকু নিজেকে দিতে পেরে আমি উল্লাসিত.....

আমার জন্য কোন বিদায়
রাখবেন না। মৃতের শরীর কখনো
শ্রদ্ধা ভালোবাসা অভিবাদন কিংবা বিদায়
নিতে পারেনা। সেখানে কেবল শরীর থাকে।
সেখানে লেগে থাকে বিকৃত স্বত্তার স্ব রুপ, লেগে
থাকে পাপ।
"মহামূল্যবান ভালোবাসার মৃত্যু হোক"