সেই দিন বিকালে ছাদে কফির কাপটা নিয়ে
কফি খাচ্ছিলে, সে দিন তোমাকে কি যে অদ্ভুত লাগছিল
বিশ্বাস করো আমি তোমাকে বুঝাতে পারবো না।

তুমি কফি খাচ্ছিলে ঠিকই কিন্তু তোমার মনোবিন্দু
কফির কাপে ছিল না,
ছিল ঐ টবে ফোঁটা সতেজ ফুলগুলোর দিকে
ছাদের টবে গাছের পাতাগুলো মৃধু মৃধু বাতাসে নড়ছিল
হয়তোবা ঐবা তাসের মাঝেই তুমি আমাকে খুঁজছিলে
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি ঐ বাতাসের মাঝে ছিলাম না
তোমার মুখের উপর খোলা চুলগুলো
হালকা হালকা বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে যে বাতাসটা
আশ্রয় খুঁজছিল, বিশ্বাস করো ঐ বাতাসটার মাঝেই ছিলাম।

তোমার মুখে আকাশের যে মেঘটা ছায়া হয়েছিল
বিশ্বাস করো ঐ মেঘের মাঝেই আমি ছিলাম।
আকাশ পানে যে মনোবিন্দু ছিল তোমার
বিশ্বাস করো, আমি শুধু তখন তোমার আচঁল উড়াই দেখছিলাম
কখনো তোমার মনোবিন্দু হতে চায়নি।

হঠাত করে যে, কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি তোমায় চমকে দিয়েছিল
বিশ্বাস করো! ঐ বৃষ্টির ফোঁটার মাঝেই আমি ছিলাম।

তুমি যখন কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে
গোধুলীটা দেখছিলে, বিশ্বাস করো
আকাশের সমস্ত রং আমি তোমার মুখে দেখতে পেয়েছিলাম
কি যে অদ্ভুত লাগছিলো তোমায়
প্রেমের দেবী।

কিন্তু কফির কাপে তোমার মনো বিন্দু ছিল না
ঐ আকাশের রং ধনুর কোন এক রংগে আমায় খুজঁছিলে
বিশ্বাস করো! আকাশের সাতটা রং হয়েই আমি এসেছিলাম।