কালের অমোঘ ধ্বনি শুনিতে পাই মস্তিকে আমার
স্বয়ং মৃত্যু দাঁড়ায়ে থাকেন প্রতি রাতে
শিয়রের পাশে আলিঙ্গন করিবার দুর্ধর্ষ অভিপ্রায়ে
বিকৃত সুখে উন্মত্ত হেসে নাগপাশ ছোঁড়েন মৃত্যু দেব
চেতনার বলি হয় প্রতি রাতে প্রিয় স্বপ্নের ঘোরে
চিৎকার করিয়া ওঠে বাহুবল দুর্বল যত স্বপ্নের আতিশয্য
তোমার নির্বিকার অনুভূতিহীন চোখে মৃত্যুও আজ চূর্ণ
ভেবে দেখো প্রিয় সেই প্রাণ চঞ্চল চোখের কাতর দৃষ্টি
প্রতি রাতে এই স্বপনেরই ঘোরে কত কবিতা করেছে সৃষ্টি
প্রিয় সেই সৃষ্টির বীজ ধ্বংস হইয়া মত্ত উল্লাসে নৃত্য করিয়া
হাহাকার করে কেঁদে কেঁদে ফেরে নিস্তব্ধতার দিকে
তার জন্ম হইয়া দেখিয়েছে শুধু তোমার ভাঙা গড়া
তাহার ও যে ঘর পোড়া ছিল প্রিয় সেকথা পড়িল চাপা
আজ সে ঘর আবার পুড়িয়া মৃত্যুরে খুঁজে ফেরে
প্রিয় প্রতি রাতে আজও সখা তোর চিৎকার করে ওঠে
এ কি ভীষণ জ্বালায় জ্বলিয়া পুড়িয়া প্রতিদিন বাঁচি নতুন করিয়া
দিগম্বরের অসাধু হইয়া ফিরিলাম কত পথে
যদি তোমারই ক্ষমায় বেঁচে ফিরি সখী,
দেখা হবে ওই অন্য কোথাও অন্য কোনখানে