যখন আমি থাকবো না!
তখন আসবে না কেউ,
আমার পানে চেয়ে।
থাকবে না কেউ পথের দিকে,
দু -চোখ মেলে অধীর আগ্রহে।
সোহাগ করে বলবে না কেউ,
আবার এসো ফিরে।
স্নেহের ছোয়ায় রাখবে না কেউ,
আঁচল দিয়ে ঢেঁকে।
সে সব বড় জানতে ইচ্ছে করে।

যখন আমি থাকবো না!
যান্তে তো কেউ চাইবে না যে,
ফিরবো আমি কবে।
বলবে না কেউ মনের কথা,
আমার কানের তরে।
হাত নাড়িয়ে বলবে না কেউ,
আবার দেখা হবে।
ফুল দিয়ে কেউ বলবে না যে,
স্মৃতির আঁচলে রেখ মুড়িয়ে।
সে সব কথা জানতে ইচ্ছে করে।

যখন আমি থাকবো না!
তখন কেউ শুনবে না তো,
নদীর বুকে ভেওয়ার মাঝির দূঃখে মোড়ানো গান।
তখন কেউ শুনবে না তো,
ভোরের আযানের ধ্বনি,
ছুটবে না কেউ জেগে ঐ মসজিদের পানে।
তখন কেউ শুনবে না কি?
ভোরের মোরগের ডাক,
কোকিলের সুরেলা কন্ঠের সুর,
আর ঘুম জাগা পাখিদের কিচির-মিচির গল্পের আসর।
তখন কেউ দেখবে না তো,
ভোর কুয়াশায় ঘুম ভাঙ্গা প্রকৃতিকে;
কেমন করে সবুজ চোখে,
ভালোবাসার জোছনা ছড়াচ্ছে;
রৌদ্রোজ্জ্বল পৃথিবীতে ।
সে সব বড় জান্তে ইচ্ছে করে।

যখন আমি আর থাকবো না!
কে আমার পাশে বসে,
ঘুম পাড়ানী গান শোনাবে।
তখন কে আমাকে রাত গভীরে স্বপ্ন দেখাবে;
তরুন বুকের ভালোবাসার গল্পটুকু,
আমার বড় শুনতে ইচ্ছে করে।
শেষ বেলাতে জানতে ইচ্ছে করে,
যখন আমি থাকবো না!
এই পৃথিবীর তরে।



[ সারথী, ♥ লেখা- ২০.০১.১৯৯৯ ]