আজ আমি বড় একা।
তুমি সন্ধা সাঝে আমায়
অন্তরা টুকু শোনাতে চেয়েছিলে।
আমার মনের মনি কোঁঠায়
তুমি জাগাতে চেয়েছিলে,
ভালোবাসার প্রতিধ্বনী।
আমার কবিতার খাতায়
তুমি ভালোবাসার কবিতা লেখার
প্রেরনা যোগাতে চেয়েছিলে।
হঠাৎ  কোথা থেকে একটা ঝড় এসে
যেনো সব এলো-মেলো হয়ে গেল।

এখন আমি বড় একা।
আমার কাছে মনে হয়,
দুপুরের রোদ্রু যেন সারা পৃথিবীটাকে
অন্ধকারে ছেপে দিচ্ছে।
রাতের চাঁদকে যেনো রোদে শুকচ্ছে।
মনটা অগোছালো কথার মাঝে সাঁতার কাঁটছে।
এখন আমি তোমার প্রতিধ্বনীর,
কোন আনাগোনা শুনতে পাই না।
শুনতে পাই না,
তোমার ভালোবাসার কবিতা।

আমার চারিদিকে এখন ঝিঝি পোকার অন্ধকার।
এই অন্ধকারেও আমার হৃদয় শুধু,
তোমাকেই খুজে ফেরে;
তুমি অদূশ্যের মাঝে লুকিয়ে গেছো।
তোমার আবেগ প্রবল কন্ঠস্বর,
হয়তো আমার কানে আর কখনও পৌঁছাবে না।
এ মুহুর্তে তোমার প্রর্তিছবি ছাড়া,
হৃদয় মাঝে অন্যকে আলিঙ্গন করা অসম্ভব;
অন্তরা টুকু হয়তো আর....,
আমাকে শুনাবে না কেউ।

তুমি হিনা আজ বড় একা আমি।
শুধু কবিতার খাতাকে সাথি করে,
বেঁচে থাকতে চাই অনন্তকাল।

গত প্রতি মুহুর্তের অতীতকে টাঙ্গিয়ে রাখি,
আকাশে উড়ে চলা কঙ্কালের গায়ে ।
সঙ্গিহীন জীবন উপভোগে আগ্রহী আমি ।
তোমারও মায়াদন্ডে ভেঙ্গেছো মায়বী,
বাস্তবের রক্ততটে তুমি আসিলে একাকী।
আজ আমি বড় একা।




[ সারথী, ♥ লেখা- ১২.০৬.১৯৯৯ ]