আমি গোছানো একটা নীরবতা চেয়েছি,
নিজে'কে নিজের করে পাবো ভেবে।
রাত্রি ছেড়েছি সকাল'কে দেখবো ভেবে,
আমি ঘুম ছেড়েছি...
পূর্ণিমা রাতের গায়ে ভালোবাসার ক্যানভাস আঁকবো ভেবে।
বে-শামাল বয়সের দোষে পাথরকুচিকে ভেবেছি ক্যাকটাস!
ধুতরা ফুল'কে ভেবেছি............
ফুল সমরাজ্যের রানী।
পূর্ণ দায়িত্বের জায়গাটাতে পা রাখার পর,
আমি হাঁসতে ভুলেছি।
নিজেকে কাঁদাতে এবং কাঁদতে ভুলেছি সে দিন'ই;
যে'দিন বুঝে গেছি আমার প্রয়োজন শুধু'ই অন্যদের জন্য।
তবে বেশ ছাড়তে'ও শিখেছি;
নিজের দায়দায়িত্ব এবং অবস্থানকে বিশ্বাস করে।

নির্দিষ্ট কোষ গোহবর থেকে মানুষ জন্ম নেয়,
আবার...;
ঐ মানুষটি মরে'ও যায়।
পৃথিবীর ভূ-খণ্ডে সাময়িক বিচয়ন করে,
আবার নির্দিষ্ট অবস্থানে ফিরেও যায়।
মাতৃগর্ভে জন্মেছি একবার,
এটা ছিলো জন্মের প্রথমবার;
মাটিতে পা রেখে, জন্মেছি দ্বিতীয়বার;
তৃতীয়বার জন্মেছি পূর্ণ'বয়স পেয়ে।
তারপর.....,
বিশ্বাস করে জন্মেছি আরও একবার,
ঠকে গিয়েও জন্মেছি বহুবার।
এরপর,
আমি প্রতি মুহূর্তে জন্ম নিতাম।
প্রতি মুহূর্তে নতুন ভাবে নিজেকে জন্ম দিতাম।

মানব সত্তার চ্যালেঞ্জর গলিপথে...,
অনিশ্চয়তার বাঁধনে দিয়েছি তালা;
এবং ও'পাড়ের কণ্ঠে'ও।
সাঁঝ দুপুরে বেনামী কাঁক এসেছে,
মুক্তির বার্তা নিয়ে;
হিসেব নিকেষের দ্বন্দ্বে দিতে পারেনি জবাব।
শেষ.... জন্মেছি এ সমাজের অধীনে;
অবশেষে...,
আজও সেই খেলা চলে মহাপৃথিবীর গর্ভে।
নিঃসঙ্গতার কাঁধে চড়েছে একাকিত্ব;
এখন যাচ্ছে দিন, নেমেছে আলোর অন্ধকার।
আমার জায়গা আজ অন্য...খানে,
একদিন অস্তিত্ব.... এবং
স্মৃতির আলো এভাবেই নিভে যায়; ও যবে,
আমারী পৃথিবী থেকে।



[ সারথী ❤️ লেখা-৩০.০৫.২০২৪ ]