অর্ধাঙ্গিনী'র বাম পাঁজর কোনে আমার মাথা নুইয়ে দিয়েছি;
আর ডান পাঁজরে আমাদের ছোট্ট পরী'টা।
শরীরের স্পর্শে শরীর ছুয়ে এখন শুধু'ই আমাদের আমরা।
এক সময়ের অচেনা মানুষটি এখন বেশ চেনা;
সেখান থেকে'ই আরও একটা নতুনের সৃষ্টি।
ত্রি-পরানের ভালোবাসা আজ একটি মাঁচায়,
ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে একই হৃদয় কুয়াতে।
নিজেদের স্বপ্ন'গুলো যে'নো আসর জমিয়েছে,
কি অদ্ভুত অনুভূতি ও ভালোবাসা।

এরই মাঝে আরও একটা জায়গা তৈরি হলো,
সময় পরিবর্তনে'ই ছোট্ট রাজকন্যা বড় হতে থাকে;
রাজকন্যা'র জল্পনা কল্পনায় আমরা বিভোর।
রাজকন্যা এখন... সে.... বেশ বড়;
স্কুলের হাতে খড়ি'তে....ও তার অবস্থান,
স্কুলে প্রথম পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ফুটফুটে রাজকন্যা;
আজ সে বাবা-মার দায়িত্বের সূচনা বিন্দুতে।
ছোট্ট রাজকন্যা বাবা-মাকে শাসন করতে শিখেছে;
অনেক সময় বড় সিদ্ধান্তের মাঝে,
নিজের আদো আদো সিদ্ধান্ত জানাতে শিখেছে।

রাজকন্যা'র চোখে ঘুম... মাকে জড়িয়ে,
সে আপন মনে ঘুমের ভেলায় ভাসছে;
আমি এবং আমরা মুহূর্ত মাঝে,
ভালোবাসার ভাগ বাটোয়ারায় ব্যস্ত;
ব্যস্ততা বেড়ে চলে নিজেদের মধ্যে।
ঠিক ঐ মুহূর্তে পরী'র রাজ্য থেকে,
সুদর্শনা প্রজাপতি এসে যদি বলতো;
আমাকে এক'চিলতে ভালোবাসা দেবে কি?
তখন..... তা অসম্ভব;
এ ভালবাসা শুধু'ই আমাদের।


[ সারথী ❤️ লেখা-২৪.১২.২০২৪ ]